সনাতন ধর্মাবলম্বী এক নারী কে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ কে মিথ্যা দাবী করে আজ ২৯ অক্টোবর রোবার সকাল ১১ টায় শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার বনকুড়া গ্রামে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম। রফিকুল ইসলাম শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য। অভিযোগকারী ঐ নারীর নাম রূপসী রানী। তিনি নন্নী ইউনিয়নের বনকুড়া গ্রামের প্রদীপ রায়ের স্ত্রী। সংবাদ সম্মেলনে রফিকুল ইসলাম বলেন, রূপসী রানী একজন খারাপ প্রকৃতির মহিলা। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জনের সাথে আপত্তিকর অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়। এজন্য স্থানীয় সনাতন হিন্দু সমাজ এদেরকে সামাজিকভাবে বয়কট করেছে। রূপসী রানীর সাথে এলাকার দাদন ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত যুবদল নেতা মীর হোসেন এই অসামাজিক কাজের সাথে জড়িত রয়েছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়। তাই এলাকাবাসী দীর্ঘদিন যাবৎ মীর হোসেনকে নজরে রাখছিল। গত ২৪ অক্টোবর পৌনে ছয়টার দিকে দূর্গা পূজা বিসর্জনের সময় মীর হোসেনকে রূপসী রানীর থাকার সময় ঘরে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পায় এলাকার কয়েকজন যুবক। পরে তাদের ধরতে গেলে স্থানীয় এক শিক্ষক সহযোগীতায় মীর হোসেন পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাটিকে ধামাচাপা দিতেই এই নারী থানায় মিথ্যা অভিযোগটি করেছে। আমরা এই দেহব্যবসায়ী নারীর উপযুক্ত বিচার চাই। সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগকারী রূপসী রানীর স্বামী প্রদীপ রায়ের ভাই পরিতোষ চন্দ্র বর্মণ তার বৌদিকে পতিতাবৃত্তির সাথে জড়িত একজন মামলাবাজ মহিলা হিসেবে দাবী করেন এবং এজন্য পারিবারিক ভাবে আলাদা থাকেন বলে বক্তব্য দেন। রূপসী রানীর অভিযোগের স্বাক্ষী হরকান্ত বর্মণ সংবাদ সম্মেলনে রূপসী রানীর অভিযোগটি মিথ্যা দাবী করে বলেন, আমি কিচ্ছু জানিনা। আমাকে শুধু শুধু আন্দাজে স্বাক্ষী করা হয়েছে। এছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় সনাতন হিন্দু সমাজের প্রধান ও শিক্ষক মনীন্দ্র চন্দ্র বর্মণ, স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু তালেব, সাধারণ সম্পাদক আবদুল আজিজ, আদিবাসী নেতা অনীল চন্দ্র বর্মণ, অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা দুলাল চন্দ্র বর্মন উপস্থিত থেকে রূপসী রানীকে চরিত্রহীন ও তার অভিযোগকে মিথ্যা দাবী করে তার শাস্তি দাবী করেন। এ বিষয়ে অভিযোগকারী রূপসী রানী তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ মিথ্যা দাবী করে বলেন প্রতিমা বিসর্জনের দিন অতর্কিতভাবে তাকে মারধোর করা হয়েছে। এজন্য তিনি থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।