বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতালের প্রতিবাদে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা। আজ রোববার সকালে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউ থেকে বের হয়। এরপর জিপিও জিরো পয়েন্ট ঘুরে ফের বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে গিয়ে শেষ হয় ওই মিছিল। মিছিলে ক্ষমতাসীন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়াসহ নেতা-কর্মীরা অংশ নেন। আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ মিছিলের পর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইনউদ্দিন রানা, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজার নেতৃত্বে একটি মিছিল বের হয় রাজধানীতে। আগের দিন নয়া পল্টনে বিএনপির সমাবেশস্থলের অদূরে কাকরাইল ও বিজয়নগরে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের পর সমাবেশ পণ্ড হয়ে গেলে দলটি হরতালের ডাক দেয়। এই সমাবেশের কিলোমিটার দুয়ের দূরে আরামবাগে জামায়াতে ইসলামি ‘অনুমতি ছাড়াই’ নির্বিঘ্নে সমাবেশ করে পুলিশকে ধন্যবাদ জানালেও তারাও পরে হরতালের ডাক দেয়। হরতালে বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীদের প্রকাশ্যে দেখা যায়নি, যদিও সকালে বেশ কিছু বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। বিএনপি এই কর্মসূচির ডাক দেওয়ার পরই আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জেলায় জেলায়, ও থানায় থানায় ‘শান্তি সমাবেশের’ ডাক দেওয়া হয়। সকাল ১০টা থেকেই গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন কৃষক ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের শীর্ষ নেতারা অবস্থান নেন। কিছুক্ষণ পর জিপিও জিরো পয়েন্ট এলাকায় মিছিল করে স্বেচ্ছাসেবক লীগ। সংগঠনের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চুর নেতৃত্বে মিছিলে মহানগর দক্ষিণ কমিটির সভাপতি কামরুল হাসান রিপনসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ছিলেন। সেই মিছিলে ‘যে হাতে পুলিশ মারে সেই হাত ভেঙে দাও’, ‘যে হাতে সাংবাদিক পিটায়, সে হাত ভেঙে দাও’, ‘অবৈধ হরতাল মানি না, মানব না’, ‘যে হাত গাড়ি পোড়ায়, সেই হাত পুড়িয়ে দাও’, ‘শেখ হাসিনা সংসদে, আমরা আছি রাজপথে’ সহ নানা স্লোগান দেন নেতা-কর্মীরা। দুপুর আড়াইটায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে হরতাল বিরোধী শান্তি সমাবেশ করার কথা আগেই জানিয়েছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।