পঞ্চগড় সদর উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসে জালিয়াতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার দুপুরে পঞ্চগড় সদর উপজেলার খোলাপাড়া গ্রামের মো: হাফিজুল ইসলামের ছেলে মো: রেজাউল ইসলাম সদর উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসারের নিকট জালিয়াতি সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ প্রদান করেন। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে: অফিসে ৩০ ধারা চলাকালীন সময়ে মো: রেজাউল ইসলাম ৯৮৯ নং ডিপি খতিয়ানে একটি আপত্তি মামলা করেন। মামলার প্রেক্ষিতে উপ সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার ননী গোপাল বিশ^াস সাবেক ২৬৫০, হাল ৫০৩২দাগে ১.০০ হিস্যা অনুযায়ী ১৮২০ নং খতিয়ানে ০২ শতক জমি রেজাউল ইসলামের নামে রায় প্রদান করেন। বর্তমানে ঐ খতিয়ানে ৫.০০ হিস্যায় ওভার রাইটিং করে ০১ শতক জমি করা হয়েছে। খতিয়ানের বাকী ০১ শতক জমি ফেরত ও ওভার রাইটিংকারীর শাস্তি চেয়েছেন ভুক্তভোগী রেজাউল ইসলাম। সরেজমিনে ভলিউমের পাতায় ০২ এর স্থলে ০১ লিখতে ব্লেড জাতিয় কিছু ব্যবহার করা হয়েছে এমন অনুমান করা যায়। অফিসের একটি সূত্র জানায়, প্রায় এক বছর আগে উপ সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার ননী গোপাল বিশ^াসের টেবিল সহকারী হিসেবে কাজ করতেন মো: আবু সাঈদ। ভলিউম বইসহ সকল প্রকার কাগজপত্র তিনিই আদানপ্রদান করতেন। সেসময় সাঈদ ঝাড়-দাড় হিসেবে যোগদান করলেও বর্তমানে নৈশ্যপ্রহরী (আউট সোর্সিং) হিসেবে কর্মরত আছেন। ভলিউম বইয়ের খতিয়ানে ০২ এর জায়গায় ০১ লিখতে ঘষামাজা করা হয়েছে যা দৃশ্যমান। এর আগে সাঈদ নিজের বানানো অফিসিয়াল কয়েকপ্রকার সীল বাড়ীতে রাখা ও জাল পর্চা প্রদানের দায়ে অফিস প্রধান কর্তৃক বিতারিত হয়। কৌঁসুলি সাঈদ সময় বুঝে আবার অফিস পাড়ায় এসে প্রথমে ঝাড়-দার পদটি বাগিয়ে নেয়। অফিসে ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীর সংকট দেখা দিলে তাকে কাগজপত্র আনা নেয়ার কাজে ব্যবহার করা হতো। এ সময়ে সে বিভিন্ন অনিয়ম করে লাখ লাখ টাকা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়। ভুক্তভোগী রেজাউল ইসলাম তার ০২ শতক জমি ফেরত চেয়ে অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। এ ব্যাপারে পঞ্চগড় সদর উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসার মো: জহিরুল ইসলাম দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যাবস্থাগ্রহন করা হবে।