সিনেমার শুটিং শুরু করবেন আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে। তার আগে নির্মাতার দরকার একটা কামিনী ফুল গাছ। হোক সেটা জীবিত বা মৃত। কিন্তু লাগবেই। কামিনী গাছ চেয়ে এরইমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে। সেখান থেকে সাড়াও মিলছে বলে জানিয়েছেন গুনী নির্মাতা নূরল আলম আতিক। বরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের জীবনি নিয়ে নির্মাণ করতে যাচ্ছেন পূর্ণদৈঘ্য চলচ্চিত্র ‘লাল মিয়া’। সরকারি অনুদানে নির্মিতব্য এই সিনেমাটির প্রয়োজনেই দরকার একটি কামিনী ফুল গাছ। সেই প্রয়োজনের কথা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে এ বিজ্ঞাপন। সেখানে লেখা হয়েছে এভাবে, ‘বন্ধুবর, বরেণ্য চিত্রকর এস এম সুলতান ও তাঁর আঁকা মানুষদের নিয়ে পা-ুলিপি কারখানা নির্মাণ করতে যাচ্ছে পূর্ণদৈঘ্য চলচ্চিত্র ‘‘লাল মিয়া’’। চলচ্চিত্রটির দৃশ্যয়নের প্রয়োজনে একটি ৭-১২ ফুট উচ্চতার (জীবিত বা মৃত্য) কামিনী ফুল গাছ প্রয়োজন।’ যারা গাছটি খুঁজে দেবেন বা উপহার দেবেন তাদের অগ্রীম ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন নির্মাতা আতিক। বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। প্রয়োজনের কথা উল্লেখ্য করে বলেন, ‘আমরা ফেব্রুয়ারিতে শুটিং করবো। কিছু অভিনয়শিল্পী সঙ্গে কথাও হয়েছে। তবে এখনো তাদের সঙ্গে পাকা কথা হয়নি। আশা করছি এরমধ্যে সবকিছু চুড়ান্ত করতে পারবো।’কামিনী গাছ কেন এত জরুরি সেই প্রশ্নের উত্তরে এই নির্মাতা বলেন, ‘হুট করে তো এখন কামিনী গাছ পাওয়া যায় না। কারণ, একটা সময় বেশিরভাগ বাড়ির সামনে এই গাছ থাকতো। কিন্তু এখন সেটা দূর্লভ। আমাদের সিনেমার প্রয়োজনে এটা লাগবেই। এটাকে জীবতি মৃত্য দুইভাবেই আমাদের দেখাতে হবে। ধীরে ধীরে গাছটাই একটা শিল্পকর্ম হয়ে উঠবে। এই কারণে দরকার।’ এদিকে বিজ্ঞাপন দেয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বেশ কয়েকজন যোগাযোগ করেছেন। তবে সেটার সাইজ মেলেনি বলে জানিয়েছেন নূরুল আলম আতিকের সহকারি পরিচালক শ্যামল শিশির। তিনি বলেন, ‘সাত থেকে ১২ ফুটের গাছ আমরা এখনো পাইনি। ৫ ফুট পর্যন্ত পেয়েছি। তবে আশা করছি পাবো।’