বাংলাদেশ পেটেন্ট আইন, ২০২৩ ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট বিল-২০২৩ জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে। তবে, সংসদে তড়িঘড়ি করে অধিকসংখ্যক বিল পাসের অভিযোগ করেছেন গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান।
আজ সোমবার জাতীয় সংসদের অধিবেশন বিল দুইটি পাস হয়। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদে সভাপতিত্ব করেন। মেধা সম্পদকে অধিকতর সুরক্ষা দিতে জাতীয় সংসদে বাংলাদেশ পেটেন্ট আইন-২০২৩ জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে। সংসদ অধিবেশনে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে বিলের ওপর আনা জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি শেষে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।
এছাড়া বাংলাদেশের শিল্পখাত ব্যবস্থাপনার দক্ষতা উন্নয়নে প্রয়োজনীয় শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, পরামর্শ সেবা ও গবেষণা কার্যক্রমের ওপর জোর দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট বিল-২০২৩ জাতীয় সংসদে পাস হয়।এর আগে বিলের ওপর আনা জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি শেষে বিলটি সংসদে পাস হয়।
এদিকে সংসদে তড়িঘড়ি করে অধিকসংখ্যক বিল পাসের অভিযোগ করে মোকাব্বির খান বলেন, ‘আমার আশঙ্কা হচ্ছে সরকার কি নিজের ওপর আস্থা হারিয়েছে? নাকি সরকার ধরেই নিয়েছে তারা ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না বা পরবর্তী নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন করতে পারবে না।
জাতীয় সংসদে ‘বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট বিল-২০২৩’ এর ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন মোকাব্বির খান।সরকার অনেকগুলো পুরানো আইনকে যুগোপযোগী করার চেষ্টা করছে বলে জানিয়ে তাকে ইতিবাচক হিসেবে মনে করছেন মোকাব্বির খান। তবে, তিনি বলেন, সরকারের শেষ সময়ে এসে বিলগুলো আনা হচ্ছে- কোন আইন কখন আসছে, কখন পাস হচ্ছে তা বলা মুশকিল।
তিনি বলেন, গত রোববার সাতটি বিলের রিপোর্ট এসেছে (সংসদে)। আমরা কয়টা বিল স্টাডি করবো। সেটার জন্য সময়ের দরকার। তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে বিলগুলো মানসম্মত আইনে পরিণত হওয়ার সুযোগ খুবই কম। সরকারের শেষ সময়ে এসে এত বিলের জট কেন? এটা কি সরকারের কোনো দায়বদ্ধতা যে বিলগুলো এ সময়ের মধ্যে পাস করতে হবে।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান বলেন, বেসরকারি চিনিকল লাভবান হচ্ছে। তারা প্রায় সিন্ডিকেট করে চিনির দাম বৃদ্ধি করে। কিন্তু বেসরকারি চিনিকল বছরের পর বছর লোকসানে আছে। শিল্প মন্ত্রণালয় যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত নিলে সরকারি চিনি শিল্প লাভজনক হতো। একই সঙ্গে বেসরকারি সিন্ডিকেটের হাত থেকেও মানুষ রক্ষা পেতো।
হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, সরকারি খাতে হলেই এটা (সরকারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান) লোকসান, বেসরকারি হলেই লাভ। এর কারণ মাথাভারী পরিচালনা পর্ষদ।