নোয়াখালীর সেনবাগে বিএনপি ও জামাযাতের ডাকা তিন দিনের অবরোধের প্রথমদিন বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা সকাল সাড়ে ৮ টারদিকে উপজেলার ফেনী-নোয়াখালী মহাসড়কের ছমির মুন্সিরহাট বাজারের সন্নিকটে শায়েস্তানগর দরগাবাড়ী মসজিদ গেইট থেকে হাজনী খাল লায়ন জাহাঙ্গীর মানিক মহিলা কলেজের মধবর্তী স্থানে ও সেবারহাট পূর্ব বাজার মক্কা রাইছ মিল এলাকায় সড়কে গাছের গুড়ি, লম্বা বেঞ্চী ও সড়কে এলোমেলো ভাবে ট্রাক ও কাভ্যার্ড ভ্যান দিয়ে সড়ক অবরোধ করে।
পরে খবর পেয়ে সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ নাজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থলে পৌছে সড়কে থাকা গাছের গুড়ি,বেঞ্চ ও ট্রাক সরিয়ে দিয়ে যানবাহন চলাচলের জন্য মুক্ত করে দেয়। এ সময় অবরোধ সরাতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে অবরোধ কারীদের ধাওযা পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ অন্তত ৩০ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিযন্ত্রণে আনে। এতে পুলিশের ছোঁড়া শর্টগানের গুলিতে বিএনপি ও জামায়াতের কমপক্ষে ৫ নেতাকর্মী ও সেনবাগ থানার এক এসআই আহত হয়েছে।
এদিকে সকাল থেকে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ সহ সহযোগী সংগঠেনের নেতাকর্মীরা ছমির মুন্সিরহাট বাজারে অবরোধ বিরোধী বিক্ষোভ মিছিল করে। মঙ্গলবার দুপুরে দেড়টার দিকে অবরোধ কারীরা অতর্কিতে ছমির মুন্সির হাট বাজারে ডুকে ৪/৫টি সিএনটি চালিত অটোরিকশা, একটি পিকআপ ও ২/৩টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। এ সময় অবরোধ বিরোধীরা পিকেটারদের ধাওয়া করে নুরুল হুদা নামের এক বিএনপি কর্মীকে আটক করে গনপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপার্দ করে।
পুলিশের গুলি বর্ষণের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজিম উদ্দিন নিশ্চিত করে। এদিকে অবরোধে পিকেটিং করার সময় অবরোধ বিরোধী আওয়ামীলী ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা নুরুল হুদা নামের এক বিএনপি কর্মীকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপার্দ করে এছাড়াও রাতে মোঃ কামাল উদ্দিন নামে অপর এক বিএনপি কর্মীকে রাতে আটক করে পুলিশ।