বিএনপি-জামাত ঘোষিত ৩ দিনের অবরোধের প্রথম দিন মঙ্গলবার দিনাজপুরের বিরলে বিএনপি-জামায়াতের কোন নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের কাউকে রাজপথে পিকেটিং করতে দেখা যায়নি। যানবাহন স্বাভাবিক ভাবেই চলাচল করেছে। এছাড়াও গত দুই দিনে উপজেলা জামায়াতের আমীর-সেক্রেটারিসহ আটক হয়েছে ৫জন। সাধারন জনগনের স্বাভাবিক জীবন যাপন ও যানমালের নিরাপত্তা দিতে থানা পুলিশ তৎপর রয়েছে। উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ মোড় ও সড়কে পুলিশী টহল অব্যাহত আছে। অপরদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে শান্তি সমাবেশ করছে।
বিরল থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম মাওলা শাহ্ বলেন, বিএনপি-জামায়াতসহ সমমনা কয়েকটি রাজনৈতিক দলের ডাকা লাগাতার ৩ দিনের অবরোধ কর্মসূচি পালনে সহিংসতার ঘটনা যাতে না ঘটে, সে লক্ষ্যে পুলিশ ব্যাপক নিরাপত্তা গ্রহন করেছে। হরতাল অবরোধে সাধারন জনগনের জানমাল নিরাপত্তা দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহীনি ব্যাপক তৎপর রয়েছে। সাধারন জীবন যাপনে বাঁধা সৃষ্টির চেষ্টাকালে মঙ্গলবার ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের প্রক্রিয়া চলছে বলেও তিনি জানান।
মঙ্গলবার থানা পুলিশ কর্তৃক আটককৃতরা হলো, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুমন রেজা, যুবদলের নেতা আবু সাঈদ ও মাসুদ রানা। এর আগে ২৯ অক্টোবর উপজেলা জামায়াতের আমীর হাফেজ মাওঃ মোঃ আবদুর রশিদ ও সেক্রেটারী মোঃ নাজমুল ইসলামকে কোতোয়ালি থানা পুলিশ বিরল থেকে আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে দিনাজপুর কোতোয়ালি থানায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠ্য ও নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যে কেয়ারটেকার সরকার পুণঃপ্রতিষ্ঠা, সকল রাজনৈতিক দলের গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তি, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্যের উর্দ্ধগতি রোধ, ২৮ অক্টোবর বিরোধীয় দলের মহাসমাবেশে হামলা, সাংবাদিক ও নেতাকর্মীদের হত্যা এবং সরকারের সন্ত্রাসী কর্তৃক বিভিন্ন স্থানে যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও নৈরাজ্য সৃষ্টির প্রতিবাদে তিন দিনের ডাকা অবরোধের প্রথমদিন মঙ্গলবার দিনাজপুরের বিরলে অবরোধের কোন ছোঁয়া না লাগলেও বিএনপি-জামায়াতের ৫ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।