শেরপুরের নকলা উপজেলার পাঠাকাটা ইউনিয়নের দুধেরচর এলাকায় স্থাপিত ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) জাতীয় সংসদের উপনেতা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, কৃষিমন্ত্রণালয় সম্পর্কৃত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, সাবেক কৃষিমন্ত্রী ও শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনের সংসদ সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে মোবাইল কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন এবং মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রেটির শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
এ উপলক্ষে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ের বাস্তবায়নে এবং উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এইচ.এম সরোওয়ার্দ্দী বাবু ও মেডিকেল অফিসার (এমসিএইচ-এফপি) ডা. হোসাইন মোহাম্মদ আল ইমরান-এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আম্বিয়া খাতুন উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত থেকে এ ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটির উদ্বোধনী ফলক উম্মোচন করেন।
পরিবার পরিকল্পানা বিভাগের শেরপুরের উপপরিচালক মো. রায়হানুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া উম্মুল বানিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র হাফিজুর রহমান লিটন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা, পাঠাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুস ছালাম। এ ছাড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাগণ ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দসহ অনেকে বক্তব্য রাখেন।
এসময় উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফরিদা ইয়াসমিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সোহেল, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল আজাদ ডেভিড, নকলা প্রেস ক্লাবের নেতৃবৃন্দসহ অন্যান্য সাংবাদিকগন এবং উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার অগণিত সাধারণ জনগন উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলার পাঠাকাটা ইউনিয়নের দুধেরচর এলাকায় ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র স্থাপিত হওয়ায় প্রত্যন্ত ওই এলাকার মা ও শিশুদের স্বাস্থ্যসেবার মান অনেক গুণ বেড়ে যাবে। বিশেষ করে ওই এলাকার মা ও শিশুদের সঠিক সময়ে নিজ এলাকাতেই উন্নত স্বাস্থ্য সেবা পাওয়ার নিশ্চয়তা হলো বলে সুশীলজন মনে করছেন।