দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলায় আগাম জাতের আমন ধানের ভালো ফলন হয়েছে। পুরো দমে শুরু হয়েছে কাটা ও মাড়াই। ধানের ফলন ও দাম ভালো হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৬ টি ইউনিয়নে ব্রি ধান- ৭০,৭১,৭৫, ৮০,৮৭,৯০ ও ৯৩, বিনা ধান- ১১,১৭, ব্র্যাক- ১, হিরা ধান- ১০, আগাম জাতের ধান চাষ করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে উপজেলায় ২ হাজার হেক্টর জমিতে আগাম জাতের আমন ধান চাষ করা হয়েছে।
আগাম জাতের এই ধান চাষের শুরু থেকে কাটা মাড়াই পর্যন্ত কৃষকদের নানা প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে হয়েছে। বৃষ্টি নির্ভর আমন চাষের শুরুতেই খরার কারণে সেচের মাধ্যমে ধান গাছ বাঁচিয়ে রাখতে হয়েছে। এর পরেও সঠিক পরিচর্যা করা হলেও ধান পাঁকা ও কাটার সময় হঠাৎ করে ঝড় হওয়ায় যেন মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে দেখা দেয়। এত কিছুর পরেও উপজেলায় আগাম জাতের ধান চাষে সাফল্য এসেছে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন এলাকায় কৃষকের ঘরে ঘরে আগাম জাতের ধান উঠতে শুরু করেছে। আশ্বিন-কার্ত্তিক মাসে এ ধান ঘরে তুলে বাজার মূল্য বেশি পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।
আগাম জাতের ধান বীজ তলায় বীজ বপণের দিন থেকে মাত্র ১২০ দিনের মধ্যেই আগাম জাতের এসব ধান ঘরে তোলা হচ্ছে। উপজেলার কাজী কাটনা গ্রামের নাঈমুল ইসলাম জানান আগাম জাতের ধান আবাদ করে ধান কাটার পর ঐ জমিতে ভূট্টা লাগিয়েছেন তিনি। ঈশ্বর গ্রাম এর কৃষক মোঃ সালেম উদ্দিন বলেন, আগাম জাতের ধান আবাদ করে ধান কাটার পর আগাম ভূট্টা লাগালে ফলন বেশি হয় এবং দামও বেশি থাকে সেই সময়। অপর কৃষক হাবিব বলেন, আগাম ধান কাটার পর ঐ জমিতে আলু, গম, সরিষা, ভুট্টাসহ নানান জাতের ফসল আবাদ করা হচ্ছে।
কাহারোল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মল্লিকা রানী সেহান বীশ বলেন, আগাম জাতের ধানের ফলন ভালো হয়েছে। কম সময়ের মধ্যে অধিক ফলনের কারণে কৃষকেরা এই জাতের ধান চাষে আগ্রহী হচ্ছে। তিনি আরোও বলেন, কৃষকদের আগাম জাতের ধান চাষে উৎসাহিত করা হচ্ছে এবং কৃষকদের সকল প্রকার সহযোগিতা করছে কৃষি বিভাগ।