সারাদেশে বিএনপির ডাকা হরতালের সময় লালমনিরহাটে আওয়ামীলীগ-বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষে যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম (৪৮) নিহত হওয়ার ঘটনায় তিনদিন পর মামলা হয়েছে। বুধবার (১ নভেম্বর) রাতে সদর উপজেলার হারাটি ইউনিয়নের কাজীরচওড়া গ্রামের বাসিন্দা নিহতের বাল্যবন্ধু ও হারাটি ইউনিয়নেরর ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য আমিনুল ইসলাম খান। নিহত জাহাঙ্গীর আলম লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা ও মহেন্দ্রনগর বাফার সার গোডাউনের লোড-আনলোড শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ওমর ফারুক মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিএনপির ডাকা হরতাল চলাকালে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে যুবলীগ ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা জাহাঙ্গীর আলম গুরুতর আহত হয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় তিন দিন পর নিহতের বাল্যবন্ধু ও সদর উপজেলার হারাটি ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য আমিনুল ইসলাম খান (৪৫) মামলাটি দায়ের করেন। তিনি আরো বলেন, বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি আসাদুল হাবিব ওরফে দুলুকে প্ররোচনাদানকারী হিসেবে অভিযুক্ত করে ১ নম্বর আসামীসহ মামলায় ৮১ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতপরিচয়ের আরও ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার তদন্তের পাশাপাশি অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ প্রশাসনের জোর চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে হত্যা মামলার বাদী আমিনুল ইসলাম খান বলেন, বিএনপি সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মমভাবে হত্যাকা-ের শিকার নিহত জাহাঙ্গীর আলম তাঁর বাল্যবন্ধু ছিল। সে কারণে তিনি নিহত জাহাঙ্গীর আলমের পরিবারের সাথে আলোচনা ও পরামর্শ করে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলাটি দায়ের করেছেন। তিনি হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির দাবি জানান।