ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মহাজোটের সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধার ছোট ভাই সরাইল সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ মৃধা আহমাদুল কামালকে মুঠোফোনে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়েছেন জনৈক ব্যক্তি। শনিবার বিকেল ৪টা ৮ মিনিটে ০১৮১৯-১৬০৬৫৪ নম্বর থেকে ০১৭১৬-২০১৮৮৩ নম্বরে ফোন করে হুমকি দেয়ার অভিযোগ করেছেন আহমাদুল কামাল। বিষয়টি তিনি সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জকে জানিয়েছেন। গতকাল সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের সাথে নির্বাচন বিষয়ে মতবিনিময় করাকালে এই বিষয়টি জানিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা। মৃধা বলেন, আমি আমার অস্তিত্ব ঠিকিয়ে রাখার জন্য স্বল্প মেয়াদের এমপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছি। আমার অংশ গ্রহনের ফলে এই নির্বাচনটি অর্থবহ হচ্ছে। গুরূত্ব বাড়ছে। প্রথম দিকে আমি শঙ্কায় ছিলাম। কিন্তু নির্বাচন কমিশনার আনিসুর রহমানের বক্তব্য শুনে আমার শঙ্কা অনেকটা কেটে গেছে। কারণ তিনি বলেছেন নির্বাচনটি হবে আলিফের মত সোজা। কাউকে উল্টাপাল্টা করতে দেয়া হবে না। এই নির্বাচনকে সুষ্ঠু করা আমাদের ঈমানি দায়িত্ব। ২০-২৫ ভাগ লোক রাজনীতির সাথে জড়িত। বাকি ৭৫ ভাগ লোক স্বতন্ত্র। আমি তাদের প্রার্থী। কারণ এখানকার সাধারণ মানুষ আমাকে ভালবাসেন। নির্বাচন একটি খেলা। এই খেলায় জয় পরাজয় দুটোই মানতে হবে। আমার অবস্থা ভাল দেখে একটি মহল এখন নানা ধরণের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। এরই একটা অংশ আজকে আমার ভাইকে মুঠোফোনে হুমকি দেয়া। জনৈক ব্যক্তি মুঠোফোনে বলেছেন, “তুই বড্ড বেড়ে গেছিস। আমি সাজু ভাইয়ের লোক। তুই সরাইল উপজেলায় আস্ তুকে দেখে নিব।” নির্বাচনের আগের দিন হুমকি দেয়ার উদ্যেশ্য কী? আমাকে ও আমার লোকজনকে ভয়ভীতি দেখিয়ে থামিয়ে দেয়ার চেষ্টা। এসবে আমরা থামব না। কারণ আমি ও আমার লোকজন সাধারণ মানুষের সাথে ছিলাম আছি থাকব। এই নির্বাচনে জেলা প্রশাসক শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদ্ব ও অফিসার ইনচার্জদ্বয়ের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। কারণ তারা আমাকে শুরূ থেকে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়ার বিষয়ে বারবার আশ্বস্ত করেছেন। আমি অংশগ্রহণ না করলে নির্বাচনটি এত গরম হতো না। আমার অংশ গ্রহনের কারণেই নির্বাচনটি দারূন জমে ওঠেছে। কোন জবর দখল নয়। যার ভোট সে দিবে। এই পক্রিয়ায় নির্বাচনে আমি পরাজিত হলে কোন আপসোস নেই। তবে সাংবাদিক ভাইদের কাছে আমার অনুরোধ আগামীকালের নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে আপনাদের অনেক ভূমিকা রয়েছে। তাই আপনার আমার হয়ে কাজ করেন এই কথা আমি বলব না। নির্বাচনটি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু যেন হয় সেই দায়িত্বটুকু আপনারা পালন করবেন। তবে হুমকি দেওয়া নম্বরটিতে ফোন দিয়ে পরিচয় জানতে চাইলে আপনি কে বলেই তিনি লাইন কেটে দেন।