বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর ডাকা ফের ৪৮ ঘণ্টার অবরোধে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া থেকে কোনো দুরপাল্লার বাস ছাড়েনি। তবে বাউশিয়া পাখির মোড় থেকে সোনারগাঁও পর্যন্ত কিছু সংখ্যক হাইওয়ে মিনিবাস, সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল করতে দেখা গেছে। এদিকে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধে যে কোনো সহিংসতা প্রতিহত করতে সকাল থেকে মহাসড়কে শান্তি সমাবেশ করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। অপরদিকে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট গুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপশি সড়কে র্যাব-১১ নারায়ণগঞ্জের দুটি গাড়িকে টহল দিতে দেখা গেছে। তবে মহাসড়কের এলাকায় দেখা যায়নি বিএনপির কোনো নেতাকর্মীকে। রোববার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়ার ১৩ কিলোমিটার অংশে এমনই চিত্র দেখা যায়। দুরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ রাখার বিষয়ে জানতে গজারিয়া বাস, মিনিবাস ও মাইক্রো বাস মালিক সমিতির সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা বাস বন্ধ করিনি। যাত্রী না থাকায় দুরপাল্লার বাস ছেড়ে যাচ্ছে না। যাত্রী পেলে বাস ছাড়বে। গজারিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনসুর আহমেদ খান জিন্নাহ বলেন, দেশের মানুষের জানমাল নষ্ট করতেই বিএনপি জামায়াত এই অবরোধ ডেকেছে। গজারিয়া মানুষের জানমাল রক্ষা ও বিশৃঙ্খলা এড়াতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দড়ি বাউশিয়া,ভবেরচর, আনারপুরা ও বালুয়াকান্দি এলাকায় আমরা শান্তি সমাবেশ করেছি। গজারিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মীরা সাধারণ মানুষের পাশে রয়েছে। এ বিষয়ে গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোল্লা সোহেব আলী জানান,গজারিয়ায় অবরোধে কোনো প্রভাব না থাকলেও পুলিশ সতর্ক রয়েছে।