দিনাজপুরের কাহারোলের ৬টি ইউনিয়নের কৃষকরা কপি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বিশেষ পদ্ধতিতে রোপন করায় ফুলকপির ফলন বেশি হওয়ায় বাজারে বুধবার সকালে উপজেলার কাহারোল হাটে প্রতি কেজি ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা পাইকারী বাজারে।
উপজেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে চাষীরা আগাম জাতের ধান কেটে আগাম জাতের কপি রোপণ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে ও কপিতে কোনো প্রকার রোগ বালাই না হলে এবার কপির বাম্পার ফলন হবে ও লাভের আশা করছেন চাষীরা। প্রতি বিঘায় মোট খরচ প্রায় ১৮ থেকে ২২ হাজার টাকা। ভালো বাজার পেলে ক্ষেত থেকে পাইকারী দরে কপি বিক্রি করে ১লক্ষ টাকার উপরে বিক্রির আশা করছেন চাষীরা।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মাঠে আগাম জাতের ফুলকপি চোখে পড়ার মতো। উপজেলার ডহচী গ্রামের কৃষক আহাদ জানান, এক বিঘা মাটিতে আগাম জাতের ফুলকপি চাষ করে এবং বিক্রি করে ৭০ হাজার টাকা লাভ হয়েছে। অপর কৃষক জাহাঙ্গীর জানান, তার এক বিঘা মাটিতে ৬০ হাজার টাকার মতন বিক্রি করা হয়েছে এবং অর্ধেক জমি এখনো রয়েছে ফুলকপি।
কাহারোল উপজেলা কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মল্লিকা রানী সেহানবীশ বলেন, আমরা মাঠ পর্যায়ে চাষীদের নিয়ে আছি এবং কৃষকদের আগাম জাতের ফুলকপি লাগানোর পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হয়েছে। বর্তমানে বাজারে ফুলকপির দাম ভালো থাকায় কৃষকেরা লাভের মুখ দেখছেন।