শ্রীমঙ্গলে রোপা আমন ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবার আশা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে উপজেলার কয়েকটি এলাকায় ধান কাটা শুরু হয়ে গেছে। এ থেকে দেখা যায়, এবার শ্রীমঙ্গলে আমনের ফলন খুব ভাল হয়েছে। আগামী ১০-১৫ দিনের মধ্যে উপজেলার সব ইউনিয়নে পুরোমাত্রায় ধান কাটা শুরু হয়ে যাবে বলে স্থানীয় কৃষি অফিস সুত্র জানিয়েছে।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা সুমা পাল জানান, এবার শ্রীমঙ্গলে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১৫ হাজার ৩৬৫ হেক্টর। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১০ হেক্টর বেশি জমিতে রোপা আমন চাষ হয় অর্থাৎ মোট আমন চাষ হয়েছে ১৫ হাজার ৩৭৫ হেক্টর জমিতে।
সুমা পাল আরো জানান, এবার শ্রীমঙ্গলে বিভিন্ন জাতের ধান চাষ হয়েছে। এরমধ্যে হাইব্রিড জাতের বারি হাইব্রিড-৬, হীরা-১০, এজেড-৭০০৬, সুবর্ণ-৮ জাতের ধানের চাষ হয়েছে। এছাড়াও উফশী জাতের বিআর-১১ ও ২২, ব্রি ধান- ৩২, ৩৪, ৪৯, ৫২, ৭১, ৭৫, ৮৭, ৯৩, ৯৪, ৯৫ এবং বিনা-৭, ১১, ১৬, ১৭ জাতের ধান চাষ করা হয়েছে। এদিকে স্থানিয় জাতের ধান চাষ করা হয়েছে বিরুইন, বালাম, কালিজিরা ও চিনিগুড়া জাতের ধান।
উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো. মাসুকুর রহমান জানান, এবার শ্রীমঙ্গল উপজেলায় ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬৯ হাজার ১৪২ মেট্রিক টন। যা থেকে চাল উৎপাদন হবে ৪৫ হাজার ৬৩৪ মেট্রিক টন।
উপ-সহকারি উদ্ভিদ সংরক্ষন কর্মকর্তা রকেন্দ্র শর্মা জানান, রোপা আমন ধানের মাঠে পোকামাকড় ও রোগবালাই নিয়ন্ত্রণে থাকায় এবার আমন ধানের ফলন বেশি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক আমন ধান উৎপাদনের বিপুল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মহিউদ্দিন বলেন, এবার শ্রীমঙ্গলে রোপা আমনের চমৎকার ফলন হয়েছে। তাই উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে এতে কোন সন্দেহ নেই। আমরা ক্রপ কাটিং শুরু করেছি। এ সপ্তাহের মধ্যেই প্রকৃত চিত্রটা পাওয়া যাবে। তিনি জানান, বুধবার উপজেলার ভুনবীর এলাকায় ব্রিধান-৮৭ জাতের ক্রপ কাটিং অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রতি হেক্টবে ৫.২৭ মেট্রিক টন ধান পাওয়া গেছে।