‘নামি’ রেস্টুরেন্টের গোছালো চেয়ার-টেবিল, স্বচ্ছ জগ-গ্লাসের পরিবেশনায় মুগ্ধ হয় দর্শনার্থীরা। অথচ এমন ‘নামি’ রেস্টুরেন্টের রান্নাঘরটি যেন ডাস্টবিনের মতোই নোংরা! রাতভর ফেলে রাখা হয় মাখানো বেসন, মাংসের কিমা, আটা, পেঁয়াজ, রসুনসহ বিভিন্ন উপাদান। মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যদ্রব্য বিক্রিসহ বাসি তেলে ভেজে তৈরি করা হয় মুখরোচক খাবার। উপজেলা প্রশাসনের নিয়মিত বাজার মনিটরিং এর অংশ হিসেবে গত সোমবার গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার সনমানিয়া ইউনিয়নের আড়াল বাজার এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে অভিযান চালিয়ে এমনই দৃশ্য দেখেছে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট। নিম্নমানের খাদ্যদ্রব্য তৈরি, বিক্রি ও সংরক্ষণের অপরাধে ‘জম জম রেস্টুরেন্ট এ- পার্টি সেন্টারকে’ “ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯” অনুযায়ী নগদ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিফাত নূর মৌসুমী। সহযোগিতায় ছিলেন থানা পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। অভিযান পরিচালনাকারী এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রিফাত নূর মৌসুমী জানান, রেস্টুরেন্টে মানসম্মত খাদ্যদ্রব্য পরিবেশনসহ সকল কর্মচারীকে নির্ধারিত পোশাক পরে কাজ করার নির্দেশনা দেয়া হয়, এবং ভবিষ্যতে দ্বিতীয়বার এ ধরনের অপরাধের সাথে সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে রেস্টুরেন্ট বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও সতর্ক করা হয়। এদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের খবর পেয়ে বেশ কয়েকটি মিষ্টির দোকানী ও ফল ব্যবসায়ীরা জরিমানার ভয়ে দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যায়।