খুলনার কয়রা উপজেলায় আসমাতুল্লাহ নামে এক যুবককে ছুরিকাঘাতে আহত করেছে দূর্বৃত্তরা। আহত আসমাতুল্লাহ কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে এসেও বহু বিতর্কের হোতা পাইকগাছা থেকে বদলিকৃত মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট আবদুল্লাহ আল মামুন কর্তৃক হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। আসমাতুল্লাহ কয়রা উপজেলার ৫নং কয়রা গ্রামের খলিল ঢালীর ছেলে। তার দুরব্যবহারে প্রতিকার চেয়ে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য তার পিতা খলিল ঢালী বুধবার রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ রেজউল করিম বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১ টায় তার নিজ বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে এবং রাত ২.৩০ মিনিটে কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে চিকিৎসা সেবা নিতে এসে মেডিকেল এসিষ্টান্ড কর্তৃক হয়রানির শিকার হয়। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় রাতে আসমাতুল্লাহ তার বাড়ীতে শুয়ে পড়ে রাত একটার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাইরে বেরোলে অপরিচিত দুজন লোক তার উপর ছুরি দিয়ে হামলা চালায় এতে তার শরীরের গলা পিঠ হাতে গুরুতর জখম হয়। তার চিৎকারে বাড়ীর অন্যলোকজন বের হলে দূবৃত্তরা পালিয়ে যায়। পুলিশকে জানালে রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে এবং আসমাতুল্লাহকে চিকিৎসার জন্য কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরন করেন। আহত আসমাতুল্লাহ পিতা খলিল ঢালী জানান আমার ছেলের চিকিৎসার জন্য রাত ২.৩০ মিনিটে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে পৌছায়। জরুরী বিভাগে কোন ডাক্তার না পেয়ে ডাকাডাকি করি এবং পাশের রুম থেকে মেডিকেল এ্যাসিসট্যান্ট আব্দুল্লাহ আল মামুন বের হয়ে প্রেসক্রিপশন লিখে দেন। গভীর রাতে কোন ফার্মেসি খোলা না পেয়ে একজনকে ডাকাডাকি করে তুলি কিন্তু তার কাছে সেই ওষুধ পাওয়া যায়নি। আমরা আবার হাসপাতালে ফিরে এসে তাকে বলি এটা ঐ ফার্মেসিতে নেই। তখন সে বলে তোমাদের রোগীকে পাইকগাছাতে নিয়ে যাও। আমরা বলি এত রাতে নিয়ে যাব কি করে ? আপনারা একে চিকিৎসা সেবা দেন। তখন মেডিকেল এ্যাসিসট্যান্ট আব্দুল্লাহ আল মামুন আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। পরবর্তীতে ঐ হাসপাতালের ডাক্তার রাকিব হাসান এসে চিকিৎসা সেবা দেন। আমাদের সেবা না দিয়ে গালিগালাজ করার কারণ জানতে চেয়ে কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। তবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করেন মেডিকেল এ্যাসিটেন্ট আব্দুল্যাহ আল মামুন। পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে কয়রায় বদলীকৃত এই মেডিকেল এ্যাসিটেন্ড আব্দুল্লাহ আল মামুন ইতঃপূর্বে পাইকগাছা হাসপাতালে চার শ্রমিককে কলম দিয়ে মেরে আহত করেছিল ও পাইকগাছার আগড়ঘাটা উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে চার সাংবাদিকের উপর হামলা করে মামলাও করেছিল। এ বিষয়ে কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ রেজাউল করিম বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা প্রহণ করা হবে। কয়রা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, হামলার সংবাদ পেয়ে রাতেই পুলিশ পাঠানো হয়। অভিযোগ পেলে এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রহণ করা হবে।