মিয়ানমারের রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিযুক্ত মিন্ট সোয়ে বলেছেন, চীনের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সহিংসতা বন্ধ করতে না পারলে দেশ কয়েক ভাগে ভাগ হয়ে যেতে পারে। মিয়ানমারে থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স নামে একটি শক্তিশালী জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী গত ২৬ অক্টোবর সীমান্ত শহরে হামলা চালায়। জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীটি চীনের সঙ্গে দেশটির পূর্ব সীমান্ত বরাবর উত্তর শান রাজ্যের ১২টি সামরিক ঘাঁটিতে সমন্বিত আক্রমণ চালিয়ে সীমান্ত শহর চীন শোয়ে হাও দখল করে নেয়। এর পরেই এমন সতর্কতা জানিয়েছে মিন্ট সোয়ে। নতুন খবরে বলা হয়েছে, গোষ্ঠীটি স্থল দখল করা অব্যাহত রেখেছে এবং আরো বেশ কয়েকটি সামরিক পোস্টের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। এ ছাড়া অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জামও জব্দ করেছে। সামরিক বাহিনী ওই এলাকায় বোমা হামলা চালানোর জন্য যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে বলে জানা গেছে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারের কাছ থেকে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। এরপর থেকে এটিই দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে ঘটা সবচেয়ে বড় একটি ঘটনা। সশস্ত্র গোষ্ঠীটি বেসামরিক জনগণের প্রতিরক্ষা বাহিনীকেও শক্তিশালী করে তুলছে। জান্তাবিরোধী বিভিন্ন দল ও সশস্ত্র জাতিগত গোষ্ঠী মিয়ানমার জান্তাদের শত শত ঘাঁটিতে প্রায়ই হামলা চালাচ্ছে। মিন্ট সোয়ে রাজধানী নেপিডোতে জাতীয় প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে বলেছেন, ‘সরকার যদি সীমান্ত অঞ্চলে ঘটা ঘটনাগুলো কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে, তাহলে দেশটি বিভিন্ন অংশে বিভক্ত হয়ে যাবে। এই সমস্যাটি সমাধানের প্রয়োজন।’ মিয়ানমারের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কয়েকটি শহরের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। ওইসব সীমান্ত এলাকায় চীনের সঙ্গে বাণিজ্য হয় মিয়ানমারের। সূত্র : রয়টার্স