ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাসের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধ শেষ হলে গাজা উপত্যকা দখল বা শাসন করতে চায় না ইসরায়েল। কিন্তু যদি জঙ্গি হুমকির উত্থান ঠেকাতে প্রয়োজনে একটি বিশ্বাসযোগ্য শক্তির গাজায় প্রবেশ করতে হবে। বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, আমরা গাজা জয় করতে চাই না, আমরা গাজা দখল করতে চাই না এবং আমরা গাজা শাসন করতে চাই না। সম্প্রতি নেতানিয়াহু বলেছিলেন, ইসরায়েল সম্ভবত অনির্দিষ্টকালের জন্য গাজার নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবে। এই মন্তব্যের বিরোধিতা করে দেশটির প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটন বলেছে, চলমান যুদ্ধ শেষে গাজায় ইসরায়েলি দখলদারত্বের বিরোধিতা করবে তারা। ফক্স নিউজকে নেতানিয়াহু বলেছেন, গাজায় একটি বেসামরিক সরকার গঠন প্রয়োজন হবে এবং ৭ অক্টোবরের মতো হামলা যাতে না ঘটে তা নিশ্চিত করবে ইসরায়েল। নেতানিয়াহু আরও বলেছেন, ফলে আমাদের একটি বিশ্বাসযোগ্য শক্তির প্রয়োজন হবে। প্রয়োজনে তারা গাজায় প্রবেশ করবে এবং হত্যাকারীদের হত্যা করবে। কারণ এটিই হামাসের মতো সংগঠনের উত্থান ঠেকাবে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ১০ হাজার ৮০০ ছাড়িয়ে গেছে। গাজায় মৌলিক সরবরাহ ফুরিয়ে আসার কারণে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিচ্ছে। ভঙ্গুর চিকিৎসা ব্যবস্থা আহত মানুষদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, ইসরায়েলের দখলে থাকা পশ্চিম তীরের শাসক গোষ্ঠী ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের উচিত গাজার শাসনে ফেরা। ২০০৭ সালে মাহমুদ আব্বাসের ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে উপত্যকাটির নিয়ন্ত্রণ নেয় হামাস। আব্বাসসহ শীর্ষ ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা বলে আসছে, গাজায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে ফিরতে হলে পুরো ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি দখল অবসানে রাজনৈতিক সমাধান প্রয়োজন এবং ১৯৬৭ সালে যুদ্ধের আগের মানচিত্রে ফিরে যেতে হবে। নেতানিয়াহু বলেছেন, যুদ্ধের পর আমরা গাজাকে নিরস্ত্রীকরণ, জঙ্গি নির্মূল এবং পুনর্নির্মিত করা হয়েছে বলে দেখতে চাই। ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ইসরায়েলি ট্যাংকের সমর্থন নিয়ে গাজায় ফিরবেন না তারা। এর আগে, গাজা দখল নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সতর্ক করে বলেছিলেন, গাজা দখল করা ইসরায়েলের জন্য একটি ‘বড় ভুল’ হবে।