১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র, শিল্পমন্ত্রনালয় সম্পর্কিত জাতীয় সংসদের স্থায়ী কমিটির সভাপতি ঝালকাঠি-২ আসনের এমপি আমির হোসেন আমু বলেছেন, 'জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে এবং শেখ ফজলুল হক মনির নেতৃত্বে ১৯৭২ সালের এই দিনে যাত্রা শুরু হয় যুবলীগের। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামকে এগিয়ে নিতে দেশের যুব সমাজকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে এই সংগঠনকে প্রতিষ্ঠা করা হয়। সেই লক্ষ্যকে সামনে নিয়েই অগ্রসর হচ্ছে যুবলীগ। পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রাম ও হাজারো নেতাকর্মীর আত্মত্যাগের মাধ্যমে যুবলীগ দেশের সর্ববৃহৎ যুব সংগঠনে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের সকল আন্দোলন সংগ্রামে যুবলীগের অগ্রনী ভুমিকা অনস্বীকার্য। ঝালকাঠিতে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ৫১ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা অনুষ্ঠানে ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন আমির হোসেন আমু। সকাল থেকে দিনব্যপী আয়োজনের মধ্যে ছিলো দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীর পিতা এবং যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতার প্রতিকৃতিতে মাল্যদান, জাতির জনকের ভাষন মাইকে প্রচার, শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা এবং কেক কাটা। শনিবার ১১ নভেম্বর সকাল ১১ টায় ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিস মোড় সংলগ্ন রোনাল্ডস রোডে আলোচনা সভায় জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক রেজাউল করিম জাকির ও যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল শরীফের সঞ্চালনায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সরদার মো, শাহ আলম, সাধারন সম্পাদক এ্যডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক পৌর কাউন্সিলর হাফিজ আল মাহমুদ, ঝালকাঠি সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো. ইমরান হোসেন শুক্তি, সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর আকাশ, যুবলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম লাবলু, জামাল হোসেন মিঠু, শফিকুর রহমান, সরোয়ার হোসেন স্বপন ও ফয়সাল মাহমুদ সায়েমসহ আরো অনেকে। জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক রেজাউল করিম জাকির বলেন, 'হরতাল অবরোধকারীরা দেশের শত্রু। শেখ মুজিব হত্যাকারী দল বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলার মানুষ। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা থাকলেও এ দেশের কোনো মানুষ না খেয়ে নেই। আজ দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে। অলোচনা সভায় জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল শরীফ বলেন, হ্যা/না ভোট দিয়ে বিএনপি অগনতান্ত্রীকভাবে ক্ষমতায় এসেছিলো। আর আওয়ামী লীগ এসেছিলো গনতান্ত্রীকভাবে জনগনের ভোটে নির্বাচিত হয়ে। আসন্ন নির্বাচনের আগে ঘরে ঘরে উন্নয়নের তথ্য পৌছে দিতে হবে, বিএনপির নৈরাজ্য প্রতিহত করতে হবে এবং শেখ হাসিনার অধীনে আগামী নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনে নৌকা মার্কাকে বিজয়ী করে আবারো শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী করবো। এটাই যুবলীগের প্রতি আমার আহব্বান। এর আগে সকাল ১০ টায় একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। জেলা যুবলীগের নেতৃত্বে র্যালিতে শহস্রাধিক নেতা কর্মী অংশ নেয়। শহরের ফায়ার সার্ভিস মোড় থেকে শুরু হয়ে গুরুত্বপুর্ণ সড়ক ঘুড়ে একই স্থানে এসে র্যালিটি সমাপ্ত করা হয়। দুপুর ১ টায় সভা মঞ্চে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটেন দলীয় নেতা কর্মীরা।