রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, ভারতের সঙ্গে যেসব রেলের ট্রানজিট পয়েন্ট বন্ধ ছিল, সেগুলো চালু করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ শনিবার কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশনে দোহাজারী থেকে কক্সবাজার রেলপথ প্রকল্প উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। কক্সবাজারের সঙ্গে শুধু ঢাকা নয়, পদ্মা সেতু হয়ে দক্ষিণাঞ্চল ও উত্তরবঙ্গেও এ রেলপথ যুক্ত হবে। দেশের রেলপথকে আরও উন্নত ও গতিশীল করতে ইলেকট্রনিক ট্রেন চালু করার জন্য সমীক্ষা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। তিনি বলেন, এই রেল যোগাযোগের ফলে সারা দেশের সঙ্গে নতুন পথ উন্মোচন হয়েছে। একইসঙ্গে সারাদেশে ইলেকট্রনিক ট্রেন চালু করার জন্য সমীক্ষা শুরু হয়েছে। সব মিটার গেজ লাইনকে ব্রড গেজ লাইনে পরিণত করার চেষ্টা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ১৮৯০ সালে ব্রিটিশ আমলে প্রথম পরিকল্পনা নেওয়া হয় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার হয়ে মিয়ানমারের (সাবেক বার্মা) আকিয়াব বন্দর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ। তারপর ১৯১৭ থেকে ১৯২১ সালে চট্টগ্রাম-দোহাজারী পর্যন্ত ৫০ কিলোমিটার রেলপথ নির্মিত হয়। কিন্তু প্রথম বিশ্বযুদ্ধের কারণে পরিকল্পনা অনুসারে কক্সবাজার পর্যন্ত বাকি অংশে রেলপথ তৈরি হয়নি। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী সিদ্ধান্তে দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার রেলপথ স্থাপনে জন্য ২০১০ সালে প্রথম প্রকল্প নেওয়া হয়। মোট ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকার এ প্রকল্পে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ১৩ হাজার ১১৫ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে। বাকি চার হাজার ১১৯ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে।