গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ২নং সোনারায় ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি জাহিদুল ইসলাম (৪০)কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও দু পায়ের রগ কেটে দিয়ে খুন করেছে দূর্বৃত্তরা। এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ০৪ জনকে আটক করেছে থানা পুলিশ। জাহিদুল ওই ইউনিয়নের পশ্চিম বৈদ্যনাথ গ্রামের আবুল হোসেন মেম্বারের ছেলে। ঘটনা ঘটেছে গত রোববার দিবাগত রাত আনুমানিক ১১.৩০ ঘটিকার দিকে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গত রোববার দিবাগত রাত ১১.৩০ ঘটিকার দিকে জাহিদুল এবং কবির মিয়া বামনডাঙ্গা থেকে মোটর সাইকেলে করে বাড়ী ফিরছিলেন। ফেরার পথে সুন্দরগঞ্জ-বামনডাঙ্গা সড়কের সাখামারা ব্রীজ নামক স্থানে পৌছিলে ৭/৮ জন দূর্বৃত্ত সড়কে রশ্মি ফেলে তাদের গতিরোধ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। এ সময় দূর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে জাহিদুলের হাত-পায়ের রগ কেটে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম করে। লাঠি দিয়ে পিটিয়ে সঙ্গে থাকা কবিরকে আহত করে। পরে খবর পেয়ে পথচারী ও স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় ২ জনকে উদ্ধার করে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। জাহিদুলের অবস্থার অবনতি হলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে ভর্তির পর রাত আনুমানিক ৩.৫০ ঘটিকার সময় চিকিসাধীন অবস্থায় অধিক রক্ত খরনের তার মৃত্যু হয়। পুলিশ রাতেই ওই এলাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় এবং হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকা সন্দেহে ৪ জনকে আটক করে।
সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজমিরুজ্জামান বলেন, গুরুত্বর আহত অবস্থায় জাহিদুলকে রংপুর মেডিকেলে নেয়া হলে ভর্তির পর সেখানেই তার মৃত্যু হয়। নিহত পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে আটক করার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও নাম প্রকাশে অপারগতা জানান ওসি। গাইবান্ধা পুলিশ সুপার কামাল হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার পূর্বক আইনের আওতায় নেয়ার কথা স্থানীয়দের জানান।
এদিকে সোমবার সকাল থেকে উপজেলা শহর ও ছাইতানতলা বাজারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আফরুজা বারী, সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম সরকার লেবু ও উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান ডা. শফিউল আলমের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের করে জাহিদুলের হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবী জানান। এ নিয়ে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান মিঠু বলেন বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীদের পরিকল্পিত হামলার স্বীকার হয়ে জাহিদুল খুন হয়েছে। অভিলম্বে খুনিদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি। সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম সরকার লেবু বলেন, পরিকল্পিত ভাবে জামায়াত শিবিরের সন্ত্রাসীরা জাহিদুলকে খুন করেছে। খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবী জানাচ্ছি। বর্তমানে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পুলিশ বিজিপি মোতায়েন রয়েছে।