২০২৩-২০২৪ সেশনের জন্য গঠিত মহাবীর ঈশা খাঁ স্মৃতি পাঠাগারের কার্যকরি কমিটিকে অনুমোদন ও পাঠাগারের রেজিষ্ট্রেশন দিয়েছে কিশোরগঞ্জ জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার। সোমবার কিশোরগঞ্জ জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আজিজুল হক সুমন সাক্ষরিত পত্রে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। গত বুধবার দুপুরে তিনি জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার কাদিরজংগল ইউনিয়নের জংগলবাড়ি হাবেলিতে অবস্থিত এই পাঠাগার পরিদর্শন করেন। এর আগে ২০২৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ঈশা খাঁর ৪২৩ মৃত্যুবাষিকীতে এক সভায় পাঠাগারের নতুন কমিটিতে সভাপতি নির্বাচিত হন বিশিষ্ট লেখক ও ঈশা খাঁ গবেষক আমিনুল হক সাদী, সাধারণ সম্পাদক হন ঈশা খাঁর পনের তম অধস্তন পুরুষ দেওয়ান জামাল দাদ খান। গঠিত কমিটিতে সহসভাপতি দেওয়ান জালাল দাদ খাঁ,সহ সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান সাব্বির দাদ খাঁ,অর্থ সম্পাদক দেওয়ান সাকিব দাদ খাঁ, দপ্তর সম্পাদক দেওয়ান মাহমুদা খানম নীলা,সাধারণ সদস্য পদে এজ্জাজ হোসেন কাজল ও জুয়েল মাহমুদ সুজন। গঠিত কমিটির রেজুলেশনসহ জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের সহকারী পরিচালক বরাবরে প্রেরণ করা হলে তিনি আজ (১৩ নভেম্বর) অনুমোদন দেন।
প্রসংগত ঈশা খাঁ স্মৃতি পাঠাগার ও জাদুঘর নামে ২০০৫ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর এর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ঈশা খার ১৪ তম অধস্তন পুরুষ দেওয়ান আমিন দাদ খাঁ। তিনি মারা যাওয়ায় এর কার্যক্রম দীর্ঘ বছর স্তগিত ছিলো। পরবর্তীতে ২০২৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন কমিটিতে পাঠাগার পরিচালনা কমিটির সর্বসম্মতিক্রমে আমিনুল হক সাদী ঈশা খাঁ স্মৃতি পাঠাগারের সভাপতি নির্বাচিত হলে তাকেই এ পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে উল্লেখ করেন। অনুমোদিত কমিটির সভাপতি ঈশা খাঁ গবেষক আমিনুল হক সাদী জানান,মহাবীর ঈশা খাঁর স্মৃতিকে ঠিকিয়ে রাখার লক্ষে পাঠাগারটিকে নতুন করে ঢেলে সাজানো হবে। সেই লক্ষে পাঠাগারটির কার্যক্রম বেগবান করতে পাঠাগার পরিদর্শন করতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম কিশোরগঞ্জের কৃতী সন্তান জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আজিজুল হক সুমনকে। অবশেষে আজ পাঠাগারটি তিনি রেজিষ্ট্রেশন দিয়েছেন এবং ২০২৩-২০২৪ সেশনের জন্য পাঠাগারটির পরিচালনা কমিটির অনুমোদন ও পাঠাগারের গঠনতন্ত্রসহ পাঠাগারের কার্যাবলি অনুমোদন দেওয়ায় তাকে ধন্যবাদ জানাই। তাঁর দিক নির্দেশনায় ও পরামর্শক্রমে এ পাঠাগারটি জেলায় মডেল পাঠাগার হিসেবে রুপান্তরিত করবো ইনশা আল্লাহ। এজন্য সকলের দুয়া ও সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।