বুধবার সকাল সাড়ে ৬টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে কাঁচাবাজার উচ্ছেদ করে পাশের সড়কে স্থানান্ত করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইকবাল হোসেন। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে সহযোগিতা করেন বিজিবি, ভৈরব থানা পুলিশ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস, পৌরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর নাছিমা বেগমসহ পৌর কর্মচারী ও ভুমি অফিসের কর্মচারীবৃন্দ।
বন্দর নগরী ভৈরব বাজারের সাপ্তাহিক হাটের দিন বুধবার। দীর্ঘদিনের এই হাট বুধবারের বাজার নামে পরিচিত। প্রসিদ্ধ ব্যবসায়ীস্থান হিসেবে দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে ভৈরব বাজার কেন্দ্রীক গড়ে উঠে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। স্থায়ী ব্যবসার পাশাপাশি প্রতি বুধবার বাজারের বিভিন্ন অলিগলিতে বসে সাপ্তাহিক হাট বাজার।
এই হাটে পাইকারি ও খুচরা কাপড়ের দোকান, কাঁচা বাজার, নারিকেল, বাঁশবেতের জিনিসপত্র সহ নানান প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিক্রি করায় ভৈরব উপজেলাসহ পাশ্ববর্তী বেলাবো, রায়পুরা, আশুগঞ্জ, সরাইল, কুলিয়ারচর ও বাজিতপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মানুষ বুধবার হাটে আসে তাদের চাহিদামত কেনাকাটার জন্য।
বাজারের প্রবেশ মুখে সড়ক দখল করে প্রতি বুধবার সাপ্তাহিক হাট বসায় সাধারণ মানুষ, অসুস্থ রোগী, লঞ্চ, স্পীড বোড, নৌকার যাত্রী সহ ব্যাংক, বীমা ভূমি অফিস ও পৌরসভায় আসা মানুষজন ও পথচারীরা স্বাভাবিক চলাচলে ভোগান্তিতে পড়ে। তাছাড়া ভৈরব বাজারে প্রবেশমুখ আনোয়ারা হাসপাতাল থেকে পৌরসভা মোড় পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশ ব্লক করে ফুটপাতে হকার ও কাঁচাবাজার বসায় জরুরী প্রয়োজনে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি বাজারে প্রবেশ ও বের হতে সমস্যা হয়।
দীর্ঘদিনের এসমস্যা দূর করে সাধারণ মানুষের চলাচল স্বাভাবিক করতে আনোয়ারা হাসপাতাল থেকে ফায়ার সার্ভিস মোড় ও পৌরসভা মোড় পযর্ন্ত রাস্তা দখল করা কাঁচাবাজার উচ্ছেদ করে অন্যত্র স্থানান্তরিত করে উপজেলা প্রশাসন। ভৈরব বাজারের প্রবেশ মুখের কাঁচাবাজার উচ্ছেদ করায় উপজেলা প্রশাসনকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয়রা।