ভৈরবে টাকা না দেয়ায় বোনকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ নেশাগ্রস্ত ভাইয়ের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর পর ঘাতক জনি ওরফে কালু কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নিহতের নাম আমেনা বেগম (৪০) সে সৌদি প্রবাসি নাঈমের স্ত্রী ও ৪ সন্তানের জননী। সে এলাকার সুটকি ব্যাবসায়ী আবদুর গফুর মিয়ার মেয়ে। পৌর শহরের কমলপুর গাছতলা ঘাট এলাকায় মঙ্গলবার খবর পেয়ে পুলিশ রাত ১১ টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে। তবে পুলিশের দাবী পারিবারিক কলহের জেরে ভাই -বোনকে হত্যা করেছে। হত্যাকারীর ফাসিঁর দাবী জানান নিহতের স্বজনরা।
জনি মিয়া ওরফে কালুু মিয়া দীর্ঘদি যাবত ভাঙগারির ব্যবসা করতো। ব্যবসার পাশাপাশি সে মাদকে আসক্ত ছিলো। মঙ্গলবার বিকালে ৫টার সময় মাদক সেবনের টাকার জন্য বোনের কাছে আবদার করে। বোন টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ভাই-বোনের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে নেশাগ্রস্ত ভাই উত্তেজিত হয়ে মরিচের গুড়ো ছিটিয়ে বোন ও তার ভাগিনাদের চোখে -মুখে ছিটিয়ে দিয়ে তার সাথে থাকা ছুরি দিয়ে বোনের বুকে উপযুপরি কয়েক বার আঘাত করে সে পালিয়ে যায়। পরে আহত অবস্থায় আমেনা বেগমকে প্রথমে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে বাজিতপুর জহিরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করে। পরে ঢাকা নেয়ার পথে সে মারা যায়। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এ বিষয়ে নিহতের পুত্র আলভী ও স্বজনরা জানান, জনি দীর্ঘদিন ধরে নেশা করে। মঙ্গলবার বিকালে নেশাগ্রস্ত হয়ে টাকার জন্য সে তার বোনের বাড়িতে এসে বোনের কাছে টাকা দাবী করে। বোন টাকা দিতে না চাইলে সে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে । কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মরিচের গুড়ো ছিটিয়ে সবার চোখে মুখে দিয়েকোমর থেকে ছুরি বের করে বোনকে পেটে,বুকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে আহত আমেনাকে প্রথমে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করে। পরে ঢাকা নেয়ার পথে সে মারা যায়
ভৈরব পৌরসভার স্থানীয় কাউন্সিলর মোহাম্মদ আলী সোহাগ জানান, ঘাতক কালু নেশার টাকার জন্যই বোনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে।
এ বিষয়ে ভৈরব থানার ওসি মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান,ভাই-বোনের মধ্যে টাকা-পয়সা নিয়ে দ্বন্ধে ভাই -বোনকে হত্যা করেছে। ঘটনার তদন্ত চলছে এবং হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ।