বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে নেই। আজ বুধবার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বৈঠকের পর এ কথা জানান ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। পিটার বলেন, সব রাজনৈতিক দলকে আমরা যে বার্তা দিয়েছি, এখানেও সেই কথা বলেছি। সেটা হচ্ছে, আগামী নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র নিরপেক্ষ থাকবে। আমরা কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে নেই। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাচ্ছি আমরা। বৈঠকে শর্তহীন সংলাপের আহ্বান জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র চিঠি ওবায়দুল কাদেরের কাছে হস্তান্তর করেছেন পিটার হাস। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশের জন্য সহিংসতা হ্রাসের পাশাপাশি কোনো পূর্বশর্ত ছাড়া সংলাপের সুযোগ খুঁজতে সব রাজনৈতিক দলকে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি। সাক্ষাতের সময় রাষ্ট্রদূত ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের নিয়ে সহিংস রাজনৈতিক বক্তব্যের বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন বলে জানান। তিনি আরও বলেন, আমাদের ও আমাদের নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য এই বক্তব্য কতটা উদ্বেগজনক, সেই কথাও বলেছি। যেটা কয়েকদিন আগে আমাদের মুখ্য উপণ্ডমুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেলও তা-ই বলেছেন। এদিকে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের নিয়ে সহিংস রাজনৈতিক বক্তব্যের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। সম্প্রতি চট্টগ্রামের বাঁশখালীর চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মুজিবুল হক চৌধুরী এক সমাবেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে পেটানোর হুমকি দেন। ওই বক্তব্য তার ফেসবুক লাইভেও প্রচার হয়। বৈঠকে এমন বক্তব্য কত বেশি উদ্বেগজনক, ওবায়দুল কাদেরকে জানিয়েছেন পিটার হাস। সাংবাদিকদের পিটার বলেন, আমাদের ও আমাদের নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য ওই বক্তব্য কতটা উদ্বেগজনক, সে কথাও বলেছি। যেটা কয়েকদিন আগে আমাদের মুখ্য উপণ্ডমুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেলও বলেছিলেন। গত বুধবার রাতে ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উপণ্ডপ্রধান মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল নিয়মিত ব্রিফিংয়ের সময় ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে পেটানোর হুমকিকে ‘সহিংস বক্তব্য’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, এ ধরনের বক্তব্য (দ্বিপক্ষীয়) সম্পর্কের জন্য সহায়ক নয়। তিনি বলেন, বিশদভাবে বলতে গেলে, যুক্তরাষ্ট্রের স্থাপনা ও কর্মীদের নিরাপত্তা এদেশের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই নিরাপত্তা নিশ্চিত করা স্বাগতিক দেশেরই দায়িত্ব। বাংলাদেশের জনগণ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। এটি যুক্তরাষ্ট্রও প্রত্যাশা করে। বাংলাদেশের জনগণের কল্যাণে কাজ করার আহ্বান জানাতে সরকার, বিরোধীসহ সব অংশীদারদের সঙ্গে যোগাযোগে আছে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবারের বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র শান্তিপূর্ণ পরিবেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায় বলে জানিয়েছেন পিটার হাস। তিনি বলেন, সব রাজনৈতিক দলকে আমরা যে বার্তা দিয়েছি, এখানেও (ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বৈঠকে) সেই কথা বলেছি। সেটা হচ্ছে, আগামী নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র নিরপেক্ষ থাকবে। আমরা কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে নেই। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাচ্ছি আমরা। বৈঠকে শর্তহীন সংলাপের আহ্বান জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র চিঠি ওবায়দুল কাদেরের কাছে হস্তান্তর করেছেন পিটার হাস। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশের জন্য সহিংসতা হ্রাসের পাশাপাশি কোনো পূর্বশর্ত ছাড়া সংলাপের সুযোগ খুঁজতে সব রাজনৈতিক দলকে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।