দিনাজপুরের বীরগঞ্জে ফুলকপি মৌসুম অর্থাৎ শীত মৌসুমের প্রধান সবজি হল ফুলকপি। দিনাজপুরের বীরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় চাষ শুর হয়েছে। আগাম ফুলকপি চাষ করে বীরগঞ্জ পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের কাহারোল মোরের কৃষক মামুন ও মিলনের ঘুরে গেছে ভাগ্যের চাকা। বাজারে আসা ফুলকপি-বাঁধাকপি নভেম্বর মাসে ব্যাপক চাহিদা থাকায় আশানুরূপ দামে বিক্রি হওয়ায় পুজির পাশাপাশি দ্বিগুণ লাভের আশা করছেন তিনি। আগাম ফুলকপি চাষ করে সফল হয়েছেন কৃষক মামুন ও মিলন। গত বছরের তুলনায় এবার দ্বিগুন ফুল ও পাতা কপি চাষ হয়েছে। বাজারে চাহিদা থাকায়, অল্প সময়ে অধিক লাভ হয়েছে, যার কারণে আগামীতে এর পরিধি আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা। মিলন জানান, আমরা দুজন সম্পর্কে শালা দুলাভাই, আমরা স্থানীয় কৃষি খামার মালিক হতে ফুলকপি জাত-মার্বেল ও আর্লি স্পেশাল বীজ সংগ্রহ করে ৫বিঘা জমি চাষাবাদ শুরু করি। চারা রোপনের ৪৫-৫০দিন পর থেকে ক্ষেতের ফুলকপি-বাঁধাকপি বিক্রয় শুরু করেছেন তারা। পাইকারী প্রতিকেজি ফুলকপি ৩৫ টাকা কেজি দরে ৩লক্ষ ৮৪ হাজার টাকার ফুলকপি বিক্রি করেছেন। তবে এসব চাষাবাদে সার,বীজ, বালাইনাশক এবং শ্রমিক খরচসহ সর্বসাকুল্যে ব্যয় হয়েছে প্রায় ২লক্ষ টাকা। প্রকৃতি বৈরী না হলে এবং বাজার দর ভালো থাকলে আরো ৩ লক্ষ টাকার ফুলকপি বিক্রি হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।