চাঁদপুর জুড়ে ঘূর্ণিঝড় মিধিলি’র প্রভাবে বৈরী আবহাওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শুক্রবার ভোররাত থেকে শুরু হয় বৃষ্টি। সারাদিন বৃষ্টির সঙ্গে দমকা ও ঝোড়ো হাওয়া বইছে। জুমার নামাজ পর্যন্ত জেলায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে ২৬ মিলিমিটার।
বৈরী আবহাওয়ার কারণে চাঁদপুরের অভ্যন্তরীণ রুটে সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিআইডব্লিউটিএ-এর চাঁদপুর নদীবন্দর কর্মকর্তা মোঃ শাহাদাত হোসেন।
তিনি বলেন, সকালে ছোট লঞ্চগুলো বন্ধ করা হলেও সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে ঢাকা-চাঁদপুর, ঢাকা-নারায়নগঞ্জসহ চাঁদপুর থেকে সকল রুটের লঞ্চ ও নৌযান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে।
বিআইডব্লিউটিএ কতৃপক্ষ জানিয়েছে
সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৭ ও ৬ নম্বর বিপৎসংকেত জারির পর সারা দেশে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে।
জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’ খুলনা ও বরিশালের মাঝখান দিয়ে উপকূল অতিক্রম করছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন জানান, ঘূর্ণিঝড় মিধিলির অগ্রভাগ দুপুর ১২টা থেকে মোংলা ও পায়রা উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে। ঘূর্ণিঝড়ের বাতাসের গতিবেগ কিছুটা বাড়ছে। এখন ২৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার বেগে এটি এগোচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র শুক্রবার সন্ধ্যা নাগাদ মোংলা-পায়রা উপকূল অতিক্রম শেষ করবে।
চাঁদপুর লঞ্চঘাটের দায়িত্বরত নৌ পথ পরিদর্শক (টিআই) শাহ আলম জানান, ভোর ৬টা থেকে নির্ধারিত সময়ের এমভি আফিয়া, এমভি সোনার তরী-৩, এমভি ঈদগল-৭, এমভি বোগদাদিয়া লঞ্চ চাঁদপুর ঘাট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। ১০টা ৪০ মিনিটে সব লঞ্চ বন্ধ হয়ে যায়। সকাল থেকে লঞ্চগুলো ছেড়ে গেলেও যাত্রীর সংখ্যা ছিল খুবই কম। এখন ঘাটে যাত্রী-লঞ্চ কোনটাই নেই।
চাঁদপুরের আবহাওয়া কর্মকর্তা মো. শামসুল আলম জানান, গত ২৪ ঘন্টায় চাঁদপুরে ২৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা। শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর চাঁদপুরে বৃষ্টির পরিমান ও বাতাসের গতি আরো বেড়েছে।