লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার সীমান্তে ভারত থেকে গরু পাচারে ব্যবহৃত চর্কার আঘাতে আহত বাংলাদেশি গরু রাখাল আবুল হোসেনের (৪৫) মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকালে আবুল হোসেনের মরদেহ বাড়িতে তার নিলে খবর পেয়ে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এর আগে বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে আবুল হোসেনের মরদেহ তার বাড়িতে নেওয়া হয়। মৃত আবুল হোসেন উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের মাস্টার পাড়ার বাসিন্দা। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত সোমবার (১৩ নভেম্বর) আবুল হোসেনসহ স্থানীয় কয়েকজন রাখাল ও গরু ব্যবসায়ী গরু নিয়ে আসার জন্য সীমান্তে যান। সেখানে কাঁটাতারের বেড়ার উপর দিয়ে চর্কার মাধ্যমে ভারতীয় গরু পার করাচ্ছিলেন আবুল ও একদল পাচারকারী। এ সময় চর্কার বাঁশ মাথায় পড়লে গুরুতর আহত হন রাখাল আবুল হোসেন। পরে সঙ্গীরা তাকে উদ্ধার করে গোপনে রংপুরের একটি ক্লিনিকে ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে তার মৃত্যু হয়। ভারত থেকে পাচার করা গরু সীমান্তের উঁচু কাঁটাতার পার করতে পাচারকারীরা বাঁশ দিয়ে বানানো এক ধরনের যন্ত্র ব্যবহার করে থাকেন। স্থানীয়ভাবে এ যন্ত্রকে চর্কা বলা হয়। সীমান্তের একটি সূত্র মতে, আবুল হোসেন স্থানীয় একজন ইউপি সদস্যের গরু পাচার করতে সীমান্তে গিয়েছিলেন। গরুর মালিক ইউপি সদস্য কিছু টাকা দিয়ে বিষয়টি রফাদফার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইমতিয়াজ কবির বলেন, ঘটনাটি সীমান্তে ঘটেছে তা জানা নেই। তবে চর্কা জাতীয় কিছুর আঘাতে তিনি আহত হয় এবং পরে মারা যান। মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মৃতের পরিবার থেকে কালীগঞ্জ থানায় মামলা করা হচ্ছে।