নীলফামারীর সৈয়দপুর একটি ছোট শহর। তবে জনসংখ্যা প্রায় চার লাখ। ১৫টি ওয়ার্ড নিয়ে সৈয়দপুর পৌরসভা গঠিত। শহরের ভিতর দিয়ে প্রধান রাস্তায় চলাচল। এর সাথে রেললাইন পারাপার। এ শহরে পৌরসভার তথ্যানুযায়ী প্রায় সাড়ে তিন হাজার রিক্সা চলে। ভ্যান চলে দুই হাজারের মত। আধুনিকতায় এসে চলছে সিএনজি, অটোরিকশা এবং ইজিবাইক। এদের সংখ্যাও প্রায় ৪ হাজার। ছোট ছোট এ যানবাহন গুলো দাঁড়ানোর জন্য শহরে নির্দিষ্ঠ কোন স্টান নেই। তাই এগুলো যত্রতত্র দাঁড় করিয়ে যাত্রী ওঠা নামা করে। ফলে শহরে সৃষ্টি হয় যানজট। ওই যানজট সামাল দিতে ট্রাফিক বিভাগকে হিমশিমে পড়তে হয়। ছোট ছোট যানবাহনের পাশাপাশি কোন কোন সময় শহরে প্রবেশ করে মালবাহি ছোট ও বড় ট্রাক। ফলে যানজট আরো তীব্র আকার ধারণ করে। যার কারণে কোন কোন সময় বিমানের ভিআইপি যাত্রী যানজটের কবলে পড়ে বিমানও মিস করে থাকেন। সম্প্রতি শহরকে যানজট মুক্ত করতে মাঠে নামে পুলিশ। তাদের অভিযানে বেশ কিছুদিন শহর ছিল অনেকটা যানজট মুক্ত। তারপর আবার সেই পুর্বের অবস্থা। যানজটের মুল কারণ রাস্তা ও ফুটপাত কতিপয় ব্যবসায়ির দখলে। দোকানের কারণে রাস্তা সংকুচিত হয়ে সৃষ্টি হয় যানজট। যানজটের বিষয়টি নিয়ে সর্বমহলে নানান প্রশ্ন। পৌর মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বেবী বার বার ফুটপাত ও রাস্তা থেকে দোকান উচ্ছেদ করতে উদ্যোগ নেন। কিন্তু তিনি আবার পিছিয়ে যান। যানজট নিরসনে এবার মেয়র নিজেই পৌর কতৃপক্ষকে সাথে নিয়ে মাঠে নামেন। শুরু করেন উচ্ছেদ কার্যক্রম। এর এক পর্যায় সৈয়দপুর ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি আলতাফ হোসেন কাজে বাঁধা দেয়। এ সময় ব্যবসায়ি ও মেয়রের মধ্যে তর্ক বিতর্ক বাঁধে। এক পর্যায় মেয়র উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করে পৌরসভায় চলে যান। পরে উত্তেজিত কিছু ব্যবসায়ি জোটবদ্ধ হয়ে পৌরসভায় গিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করে। ভাংচূর করে পৌর পরিষদের জিনিসপত্র। তবে ব্যবসায়িদের পক্ষে এটি অস্বীকার করা হয়। এ ব্যাপারে পৌর মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বেবী বলেন, আমি শহরকে সুন্দর ছিমছাম রাখতে চাই কিন্তু কোন কোন ব্যবসায়ির কারণে পারি না। তারা যদি পৌরসভার কাজে বাঁধা দেয় তাহলে আমি আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাঁধ্য হবো।