জামালপুরে সরিষাবাড়ীতে ১২ বছরের বরের সাথে ২২ বছরের কনের বিয়ের পর শ্বশুরকে নিয়ে এক কেলেংকারির ঘটনার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সরিষাবাড়ি পৌরসভার বাউসী গজারিয়া এলাকায়।
জানা যায়,পৌরসভর, বাউসি গজারিয়া গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে রিফাত(১২) সাথে উপজেলা ডোয়াইল ইউনিয়নের হাটবাড়ী গ্রামের রফিকুল ইসলামের তালাকপ্রাপ্ত মেয়ে রূপার (২২) দ্বিতীয় বিবাহ হয়। বিবাহের পর শশুর জামাল উদ্দিন পুত্রবধূকে ফিরনি আনতে গিয়ে পথিমধ্যে রাতের অন্ধকারে অটোর ভিতরে পুত্রবধকে জড়িয়ে ধরে এবং শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। পরে এ ঘটনায় দুই পরিবারের মধ্যে সমঝোতা হলেও পরবর্তীতে বিবাহিত কিশোর তার স্ত্রীকে রাতে ঘুমের মধ্যে গলা টিপে ধরে। পরে স্ত্রীর ডাক চিৎকারে আশপাশে লোকজন ছুটে এলে স্বামী রিফাত জানায় তার বাবার নামে বদনাম বের করেছে বলে সে প্রতিশোধ নিচ্ছে।
এমতাবস্থায় একই গ্রামে বিবাহিত রুপার বড় বোনের আত্মীয়স্বজন ছুটে আসে এবং রুপাকে উদ্ধার করে তাদের বাড়ী নিয়ে যায়। পরে কয়েকদিন ওই বাড়িতে থেকে রূপা তার বাবার বাড়ি চলে যায়। এদিকে রিফাত ও তার পরিবারের লোকজন পুত্রবধূ রুপার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করে। অভিযোগে বলা হয়, কিশোর রিফাত কে চক্রান্ত করে বিয়ের ফাঁদে ফেলা হয়েছে এবং দেনমোহরের আড়াই লক্ষ টাকা আদায়ের জন্যই তাঁরা তার বাবার বিরুদ্ধে এমন জঘন্য বদনাম বের করেছে। রিফাতের বাবা জামাল উদ্দিন বলেন, রিফাদের মা মারা যাওয়ার পর আমি দ্বিতীয় বিবাহ করেছি। আমার স্ত্রী থাকতে কেন আমি পুত্রবধূকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করবো। আমার পুত্রবধু আমার মেয়ের মত। তাদের এই অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। দুই মাস হয়েছে ছেলেকে বিয়ে করিয়েছি এর মধ্যেই কয়েক বার ঝগড়া বিবাদ করে মেয়েটি চলে গেছে এবং দেনমোহরের টাকা দাবি করেছে। এদিকে রূপার বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন,আমার মেয়ে ওই ছেলের কাছে বিয়ে দিতে চাইনি। ছেলের বাবাই বার বার বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে এসেছে আমার বড় মেয়ের শ্বশুর শুকুর আলীর কাছে। পরে বিয়াইয়ের অনুরোধেই এ বিয়েটি হয়েছে। বিয়ের পর পুত্রবধূর সাথে মেয়ের শশুর এমন কুকর্ম করার চেষ্টা করবে এটা কখনো ভাবিনি। মেয়ে বিয়ে দিয়েছি সংসার করে খাওয়ার জন্য বিচ্ছেদ করার জন্য নয়।
এবিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মুশফিকুর রহমান, বলেন এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।