জামালপুরের সরিষাবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনে যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনের দুইটি বগিতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (১৯ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১টা ১০ মিনিটে সরিষবাড়ী থেকে তারাকান্দি যাওয়ার সময় ট্রেনটিতে আগুন দেওয়া হয়। এতে আহত হয়েছেন ৪ নারী। তারা হলেন রুদ্র বয়ড়া এলাকার আমিনুল ইসলামের মেয়ে আশিকা সুলতানা (৩০), তারাকান্দি এলাকার জহির উদ্দিনের স্ত্রী মমতাজ, ইয়ার মাহমুদের স্ত্রী জেলি বেগম, সোহেল রানার স্ত্রী লাবনী আক্তার। জানা যায়, রাত ১ টা ১০ মিনিটে সরিষাবাড়ী রেলস্টেশন হতে তারাকান্দি রেলওয়ে স্টেশনের উদ্দেশ্েয ছেড়ে যাওয়া যমুনা এক্সপ্রেসের ২ টি বগিতে আগুন লাগিয়ে দূবৃত্তরা পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ২ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কে বা কারা আগুন দিয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে তা জানাতে পারেননি সংশ্লিষ্ট কেউই। আগুনে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে তাও জানা যায়নি। ট্রেনের এক যাত্রী জানান, আমি ট্রেনে বসা ছিলাম। এমন সময় মহিলারা চিৎকার দিয়ে বলে আগুন লাগছে আগুন লাগছে। পরে শিকল ট্রেনে গাড়ী বন্ধ করা হয়েছে। সহকারী স্টেশন মাষ্টার আবদুস সালাম জানান, লাইন ক্লিয়ার দেওয়ার পরে ট্রেনটি তারাকান্দির দিকে যাওয়ার সময় মানুষের চিল্লাচিল্লি শুনে গিয়ে দেখতে পাই ট্রেনের ক এবং গ ও আরেকটি আংশিক বগিতে আগুন জলছে। সরিষাবাড়ী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সিনিয়র অফিসার মোঃ রুহুল আমীন জানান, ১ টা ২০ এ আমরা সংবাদ পেয়ে রেলওয়ে স্টেশনে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়েছি। দুইটি বগি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। এ ছাড়া আরও একটি বগির আংশিক পুড়েছে। এদিকে পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদুর রহমান জানান, একটি যাত্রীবাহী ট্রেনে আগুন খুবই ভয়ানক একটি ঘটনা। এটা একমাত্র বিএনপি জামাত নেতাকর্মী তারাই পারে। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অচিরেই দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবী জানাই। সেই সাথে অবৈধ হরতাল অবরোধ আমরা সাধারণ মানুষ মানি না। মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মন্জুরুল ইসলাম বিদ্যুৎ জানান, আজকের পর থেকে সরিষাবাড়ীতে বিএনপির রাজনীতি নিষিদ্ধ যারা দেশের রাষ্ট্রের সম্পদ নষ্ট করে তারা দেশের শত্রু জাতির শত্রু। আমাদের বাবা দাদারা জীবনের ঝুকি নিয়ে এ দেশ স্বাধীন করেছে আমরা এ স্বাধীনতা রক্ষার জন্য প্রস্তুত আছি। সরিষাবাড়ীর মাটিতে আর বিএনপির রাজনীতি হবে না আর আমরা অপরাজনীতি করতে দিব না। সরিষাবাড়ী থানার অফিসার অফিসার ইনচার্জ মুশফিকুর রহমান জানান, কে বা কারা আগুন লাগিয়েছে এমন সংবাদ পেয়ে সরিষাবাড়ী থানা পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তদন্ত চলছে। কোন রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে কিনা প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, হরতাল অবরোধ আছে যেহেতু এ ঘটনা ঘটতে পারে। প্রাথমিকভাবে আমরা তদন্ত করছি তদন্ত স্বাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ ফাহমিদা জামান তিথি জানান, ১ টা ২০ মিনিট থেকে আমাদের হাসপাতালে ৪ নারী রোগী এসেছিলেন। এর মধ্যে ২ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আর ২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।