নোয়াখালীর সেনবাগ বিএনপির ডাকা হরতাল সমর্থনে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মফিজ গ্রুপের বের করা বিক্ষোভ মিছিলে আওয়ামী লীগের হামলার অভিযোগ করছে বিএনপি। এ সময় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ছোঁড়া গুলিতে বিএনপি এবং সহযোগী সংগঠনের অন্তত ২০ আহত হয়েছে বলে দাবী সংগঠনটির নেতাদের। আহতদের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে গোপনে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ওই হামলার ঘটনাটি ঘটেছে রোববার (১৯ নভেম্বর) সকাল ৬টারদিকে সেনবাগ উপজেলার নোয়াখালী-ফেনী মহাসড়কের সেনবাগ রাস্তার মাথা ও ছমির মুন্সিরহাট বাজারের মধ্যবর্তী স্থানের সড়কে।
আহতরা হচ্ছেঃ সেনবাগ উপজেলার ছাত্রদল সদস্য সচিব আনোয়ার হোসাইন, উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহবাকখ আরমান হোসেন সুমন, কাদরা ইউপি ছাত্রদল নেতা রাশিদুল ইসলাম, সেনবাগ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল যুগ্ম আহ্বায়ক আলাউদ্দিন, পিতা নুরুল আমিন। ডমুরুয়া ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আলম, যুবদল নেতা আবু সুফিয়ান, ১ নং ওয়ার্ড যুবদল সভাপতি রুবেল, ৩ ডমুরুয়া ইউনিয়ন ছাত্রদল কর্মী বাদশা, ইমরান, স্বেচ্ছাসেবক দল কর্মী মোশাররফ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল সদস্য মনির হোসেন, ৫ নং ইউনিয়ন ছাত্রদল কর্মী সিফাত, পৌর যুবদল সদস্য ইকবাল। ৪ নং ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দল সদস্য সবুজ, পৌরসভা ছাত্রদল কর্মী মাজাম্মেল, রাব্বি, ডমরুয়া ইউনিয়ন যুবদল নেতা, ৫ নং ইউনিয়ন ছাত্রদল কর্মী সাইফুল।
বিএনপি নেতা ভিপি মফিজুল ইসলাম অভিযোগ করে জানান, রোববার সকাল ৬টারদিকে হরতাল সমর্থনে তারা শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে সেনবাগ রাস্তার মাথা এলাকার ডোমনাকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন সড়ক থেকে একটি শান্তিপূর্ন বিক্ষোভ মিছিল বের করে ছমির মুন্সিরহাট বাজার অভিমুখে রওয়ানা দিলে পিছন থেকে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী মিছিলকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ী গুলি ছুড়ে। এ সময় উভয়ের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় আওয়ামী লীগের ছোঁড়া গুলিতে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের অন্তত ২০জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। এ ব্যাপারে য়োগাযোগ করলে কাবিলপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক এক নেতা নাম প্রকাশ না করা শর্তে জানান, বিএনপি একটি মিছিল বের করার চেষ্টা করলে তারা ধাওয়া করলে পালিয়ে যায় বলে স্বীকার করেন।
এব্যাপারে সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোঃ নাজিম উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান এ বিষয়ে কেউ থানায় অভিযোগ করেনী। তবে, কাজী মফিজ গ্রুপের মিছিলে জয়নুল আবদিন ফারুক গ্রুপ হামলা চালিয়েছে বলে লোকমুখে শুনেছেন বলে জানান তিনি।