রাজশাহীর পুঠিয়ায় হেলমেট বাহিনীর আতঙ্কে এলাকার সাধারণ মানুষরা দিশেহারা পড়েছেন। উপজেলার মানুষরা অভিযোগ তুলেছেন,সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি এবং অবহেলার কারণে এলাকা জুড়ে মোটরবাইক হেলমেট বাহিনী মাথা চাড়া দিয়েছে। এলাকার সড়কগুলোতে দিনে কিংবা রাতে দুর্বৃত্তরা হঠাৎ যানবাহনে ককটেল পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে আগুন দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সাহশ পাচ্ছে। হরতাল-অররোধ প্রভাব এলাকায় খুব একটা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। শুধুমাত্র দুরপাল্লার যানবাহন সড়কে দেখা যাচ্ছে না। উপজেলার ২৮ কিমি জুড়ে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক রয়েছে। এরপর গ্রামঞ্চেল ছোট বড় অনেক সড়ক আছে। দৃর্বৃত্তরা কয়েকজন মিলে মোটরবাইকে হেলমেট পরে দ্রুতগতিতে সড়কের যে কোনো যানবাহনে গিয়ে ককটেল কিংবা পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে পালিয়ে যাচ্ছে। উপজেলার বেশ কয়েকটি স্থানে বোমা নিক্ষেপ করার জন্য এলাকার সাধারণ মানুষরা ভীষণ আতঙ্কের মাঝে রয়েছেন। স্থানীয়রা বলছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হেলমেট বাহিনীর নামের তালিকা এখনো উদঘাটন করতে পারিনি। শুধুমাত্র এ কারণে একেরপর এক হেলমেট পরে বাইক নিয়ে ককটেল পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করৎে পাড়ছ্্ে। এখানে থানা পুলিশের যথেষ্ট নজরদরির অভাব রয়েছে। গত ৮ নভেম্বর শিবপুর বাজারের অদুরে মহাসড়কে হেলমেট বাহিনী তিন/চারটি যানবাহন ভাঙ্চুর করে আগুন দিয়ে ছিল। এলাকাবাসীরা তাৎক্ষণিক দুইজন দুর্বৃত্তকে আটক করেছেন। ১৩ নভেম্বর বিড়ালদহ এবং তারাপুর মহাসড়কে ককটেল নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়। রোববার ১৯ নভেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার তাহেরপুর-পুঠিয়া সড়কের ধোপাপাড়ার ফিড মিলের নিকটে প্রাণ কোম্পানির একটি যাত্রীবাহি বাসে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। এতে মুহূর্তে মধ্য গাড়িটিতে আগুন লেগে যায়। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। সেলিম মাহাম্মদ ধোপাপাড়া এলাকার ব্যক্তি বলেন, রোববারের ঘটনায় এখন থানা পুলিশ যারা ঘটনা ঘটায়েছে, তাদের বাদ দিয়ে বেশকিছু সাধারণ মানুষকে জড়ায়ে মামলা করবে। এদিকে আত্মঘাতি হামলা চললে অপরদিকে পুলিশী আতঙ্কের রাত যাপন। কোনো দিকে যাব আমরা। এ ব্যাপারে পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুর রহমান বলেন, মোটরবাইক নিয়ে সড়কে এসে পেট্রোল দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। আমরা হেলমেট বাহিনীর ধরার চেষ্টা করছি।