পাবনার আটঘরিয়ায় মোবাইল ফোনে পরকিয়া সন্দেহে স্বামী লিটন স্ত্রী মুন্নী খাতুনকে গলাটিপে হত্যা করে। বুধবার (২২ নভেম্বর) বিজ্ঞ আদালতে লিটন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। এর আগে গত মঙ্গলবার দিবাগন রাতে আসামি লিটন মিয়া (৩০) গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশ। আসামী লিটন আটঘরিয়া উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের বারইপাড়া গ্রামের শহিদুল মোল্লার ছেলে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, স্বামী লিটন, স্ত্রী মুন্নী ও তার দুই শিশু সন্তানসহ একদন্ত চন্ডিপাশা সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের বসবাস করতো। ঘটনার দিন গত ১০ নভেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাদের মধ্যে মোবাইল ফোনে কথা বলা ও পরকিয়া সন্দেহ করে ঝগড়া-বিবাদ হয়। এরই একপর্যায়ে রাতের খাওয়া শেষে স্ত্রী মুন্নী ঘুমিয়ে পড়লে লিটন তার স্ত্রীকে গলা টিপে হত্যা করে ঘরের দরজা সিটকানি লাগিয়ে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ নিহতের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
আটঘরিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান, স্ত্রী মুন্নী হত্যা মামলার আসামি লিটনকে গত মঙ্গলবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে উপজেলার জুমাইখিরি গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে বুধবার আদালতে সোপর্দ করলে স্বেচ্ছায় ১৪৪ ধারা জমাববন্দিতে স্ত্রীকে হত্যার সত্যতা স্বীকার করেন।