বাংলাদেশের একমাত্র নৌ-চ্যানেল গাবখানে স্রােত, বাতাস ও কুয়াশার কারণে দুই জাহাজের সংঘর্ষে একটি ডাল বোঝাই কার্গো জাহাজের তলা ফেটে পানি ঢুকে ডুবে যাওয়ার উপক্রম হলে স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় রক্ষা পেয়েছে। জাহাজ মাস্টার মোঃ হান্নান জানান, ১৪শত মেট্রিন টন ডাল নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা এম,ভি স্কাই ইন্টারন্যাশনাল যশোর নোয়াপাড়া যাওয়ার পথে ঝালকাঠি-কাউখালীর গাবখান চ্যানেলের ভিতরে মংলা থেকে ছেড়ে আসা এম,ডি রুপসা-১ তেল বোঝায় ট্যাংকারের সাথে রাত ১টার সময় নৌ চ্যানেলের ভিতরে স্রােত, বাতাস ও কুয়াশার কারণে পাশাপাশি সংঘর্ষ হয়। পরে এম,ভি স্কাই কার্গো জাহাজটি আস্তে আস্তে চালিয়ে কাউখালীর কচা নদীতে ডোকার সময় দেখতে পায় তলা ফেটে জাহাজে পানি ঢুকে যাচ্ছে। এ সময় জাহাজটি কাউখালী স্টিমার ঘাটের সামনে নদীর কিনারে এসে নোঙ্গর করে। খবর পেয়ে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন, থানা ও নৌ পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস দ্রুত উদ্ধারের জন্য দুটি বাজ জাহাজ ব্যবস্থা করে জাহাজটিকে ডুবা থেকে রক্ষা করে। এ সময় জাহাজ কর্তৃপক্ষ ও মাল সরবরাহকারী কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তহীনতার গড়িমসির কারণে জাহাজটি উদ্ধার করতে অনেক বেগ পেতে হয়। জাহাজে মাল সরবরাহকারী প্রতিনিধি মিনহাজ জানান নাবিল গ্রুপের ১৪শত মেট্রিক টন ডাল নিয়ে গত ২০ নভেম্বর চট্টগ্রাম থেকে ছেরে আসে, গতকাল গাবখান চ্যানেলে ঢোকার জন্য ঝালকাঠিতে নোঙ্গর করে পরে রাত ১০টায় ঝালকাঠি থেকে ছেড়ে আসে। দুই জাহাজের সংঘর্ষে তলা ফেটে পানি ঢুকে যাচ্ছে কিন্তু কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ছাড়া আমি ডাল খালাস করার অনুমতি দিতে পারছিলাম না। খবর পেয়ে পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক জাহেদুর রহমার, পুলিশ সুপার শেখ মুস্তাফিজুর রহমান ঘটনাস্থলে এসে জাহাজটি উদ্ধারের জন্য বিআইডব্লিউটিসির উদ্ধারকারী জাহাজকে খবর দেয় এবং জাহাজের মালিক, পরিবহন কর্তৃপক্ষ ও ডালের মালিক নাবিল গ্রুপের সাথে যোগাযোগ করে দ্রুত জাহাজের মালামাল খালাস করে জাহাজটি যেনো ডুবে না যায় তার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। জেলা প্রশাসক জাহিদুর রহমান বলেন, এম,ভি স্কাই জাহাজটি দুর্ঘটনা কবলিত হয়েছে। এটি যেন ডুবে না যায় এজন্য আমরা দুইটি বাজ জাহাজ দিয়ে ঠেক দিয়ে রাখা হয়েছে। খালাশ করার জন্য স্ব-স্ব কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা যোগাযোগ করেছি। তারা দ্রুত জাহাজ পাঠাচ্ছে মাল খালাস করে তখন ওই জাহাজে তোলা হবে। বিআইডব্লিউটিসির উদ্ধারকারী জাহাজটি আসলে তখন আমরা ডুবতে থাকা জাহাজটিকেও নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাবো। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ আমিনুর রহমান, কাউখালী উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সাঈদ মনু মিয়া, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সজল মোল্লা, কাউখালী থানা ইনচার্জ মোঃ জাকারিয়া, পিরোজপুর ফায়ার সার্ভিসের উপণ্ডসহকারী পরিচালক মোঃ সেলিম মিয়া, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।