কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৪ নাঙ্গলকোট এলাকার গ্রাহকরা ঘুষ বাণিজ্যে জিম্মি হয়ে পড়েছে। ঘূর্ণিঝড় মিধিলির সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ঘুষ বাণিজ্য চরম আকার ধারণ করঘূর্ণিঝড়কে কেন্দ্র করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে পল্লী বিদ্যুতের সাথে সংশ্লিষ্ট কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। টাকা না দিলে সেবা পেতে অপেক্ষা করতে হয় দিনের পর দিন। ঘূর্ণিঝড়ের ৭ দিনেও কিছু এলাকায় এখনো বিদ্যুৎ সংযোগ পায়নি। পল্লী বিদ্যুতের ইলেকট্রিশিয়ান ও স্থানীয় দালালদের মাধ্যমে গ্রাহকদের থেকে এ টাকা আদায় করা হয়। হয়রানীর ভয়ে গ্রাহকরা মুখ খুলতে নারাজ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নাঙ্গলকোট পৌরসভার হরিপুর, উপজেলার বাগড্ডা ইউনিয়নের আঙ্গুলখোড়, রায়কোট উত্তর ইউনিয়নের পিপড্ডা, বেকামলিয়া, খাড়ঘর, শ্রীরামপুর, খিল্লাপাড়া, রায়কোট দক্ষিণ ইউনিয়নের মালিপাড়া, বেতাগাঁও, আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের বেলঘর, মৌকরা ইউনিয়নের ফতেপুর, পেরিয়া ইউনিয়নের মাধবপুর-সহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার গ্রাহকরা জানান, ঘূর্ণিঝড়ের পর গ্রাহকগণ ঘুষ দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে বাধ্য হয়েছে। এলাকা ভেদে মিটার অনুযায়ী ২শ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়ে সংযোগ দেয়া হয়েছে। কোন কোন এলাকায় টাকা নেওয়ার পর সময়মত কাজ না হওয়ায় তোপের মুখে টাকা ফেরত দিতে বাধ্য করেন এলাকাবাসী। ঘুষ বানিজ্যর বিষয়ে সরজমিনে তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণে পল্লী বিদ্যুতের উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন গ্রাহকগণ। নাঙ্গলকোট পল্লী বিদ্যুৎ ডিজিএম কামাল পাশা বলেন, গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে এমন কোন অভিযোগ পাইনি। কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৪ অতিরিক্ত দায়িত্বে¡ থাকা বিমল কান্তি ভৌমিক বলেন, খোঁজখবর নিয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রায়হান মেহেবুব বলেন, গ্রাহকদের নিকট থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের নিয়ম নেই। খবর নিয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।