বাগেরহাটের শরণখোলায় দুই সন্তানের জননি সোনিয়া বেগম (২৭) নামে এক গৃহবধু আত্মহত্যা করেছেন। বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) উপজেলার উত্তর কদমতলা গ্রামের স্বামীর বাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনার পর থেকে স্বামী সাদ্দাম হোসেন হাওলাদার (৩৫) পলাতক রয়েছেন। সুন্দরী ও সদালাপি সোনিয়ার মৃত্যুতে তার মা দুলিয়া বেগম অস্বাভাবিকের মত নানা প্রলাপ বকছেন এবং বার বার মুর্ছা খাচ্ছেন। নিহত সোনিয়া বেগম পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার ছোট মাছুয়া গ্রামের আ. আজিজ হাওলাদারের মেয়ে। ৫-৬ বছর আগে শরণখোলার উত্তর কদমতলা গ্রামের মৃত রহমান হাওলাদারের ছেলে সাদ্দামের সঙ্গে বিয়ে হয় তার। এই দম্পতির ছয় বছেরের এক মেয়ে রাইসা ও ফুটফুটে ছয় মাসের এক ছেলে সজীব রয়েছে। পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, স্বামী সাদ্দাম হোসেন পরকিয়ায় আশক্ত। এনিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তাদের দাম্পত্ত কলহ চলছিল। বুধবার রাতেও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায় সোনিয়া বেগম গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। সোনিয়ার মা দুলিয়া বেগম রাতেই খবর পেয়ে মঠবাড়িয়ার ছোট মাছুয়া থেকে শরণখোলায় মেয়ের বাড়িতে পৌছায়। তিনি সকালে কান্নাজড়িত কণ্ঠে অভিযোগ করে বলেন, পার্শবর্তী এক প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে পরকীয়ার কারণে তার জামাই সাদ্দাম হয়তোবা সোনিয়াকে হত্যা করে নিজেকে বাঁচাতে আত্মহত্যার খবর ছড়িয়েছে। ছোনিয়ার মা ও সাদ্দামের মা সম্পর্কে বোন। শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকরাম হোসেন জানান, এ ঘটনায় নিহতের ভাই আল-আমীন হাওলাদার বাদি হয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে স্বামী সাদ্দাম হোসেন হাওলাদারের বিরুদ্ধে শরণখোলা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পলাতক সাদ্দামকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট মর্গে পাঠানো হয়েছে।