নওগাঁর মান্দায় ইজারা নেওয়া শালদহ মৌজার একটি বিল থেকে প্রকাশ্যে মাছ লুট করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মাছ লুটের এ ঘটনায় ২৩জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২০-২৫জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে মান্দা থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগকারী শারিকুল ইসলাম বলেন, শালদহ মৌজার ৭১ দশমিক ২৭ একর আয়তনের বদ্ধ জলমহাল ৬বছরের জন্য ইজারা নেয় বিলউথরাইল যুব উন্নয়ন মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিঃ। এরপর সেখানে মাছ চাষ ও পরিচর্যা করা হয়। বিলটি ইজারা নেওয়ার পর থেকে এলাকার কিছু লোকজন এর বিরোধীতা করে আসছিল। শারিকুল ইসলাম আরও বলেন, বর্তমানে বিলের পানি কমে যাওয়ায় মাছ ধরার প্রস্তুতি নেয় সমিতির লোকজন। এ অবস্থায় বুধবার বেলা ৯টার দিকে হঠাৎ করেই রুয়াই গ্রামের মোস্তফা, দেবেন্দ্রনাথ, দিলিপ কুমার, বাবুল চন্দ্রের নেতৃত্বে শতাধিক লোকজন কারেন্ট ও বেড়জালসহ মাছ ধরার বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে বিলে নেমে পড়ে। বুধবার দিন ও রাতভর বিল থেকে অন্তত ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকার মাছ লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিলের পাহারাদার বাবুল হোসেন বলেন, বুধবার সকালে এলকার নারী-পুুরুষ সংঘবদ্ধ হয়ে নৌকা নিয়ে বিলে নেমে মাছ ধরতে শুরু করে। এ সময় বিল পাহারা দেওয়ার একটি ঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লোকজনকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করে। কিন্তু মাছ লুটকারীদের লগি-বৈঠার তোপের মুখে পিছু হটে পুলিশ। এ বিষয়ে অভিযুক্ত দেবেন্দ্রনাথ হালদার বলেন, শালদহ মৌজার বিলগুলো উন্মুক্ত জলাশয়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় হঠকারী সিদ্ধান্ত নিয়ে বিলটি ইজারা প্রদান করে। বিলটি ইজারা দেওয়ায় ঘোনা, শালদহ, রুয়াই, শংকরপুর, ভারশোঁ, পলাশবাড়ী ও রাজশাহীর তানোর উপজেলার মালশিরা, ভবানীপুর, রঘুনাথপুর, মির্জাপুরসহ অন্তত ১৫ গ্রামের পাঁচ হাজার জেলে পরিবার কর্মহীন হয়ে পড়ে। জীবিকার তাগিদে উপায়ান্ত না থাকায় বিলে নেমে তারা মাছ ধরেছেন। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, শালদহ মৌজায় ইজারা নেওয়া বিল থেকে মাছ লুটের ঘটনায় একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়্ াহবে। জানতে চাইলে মান্দা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাকির মুন্সী বলেন, যথাযথ প্রক্রিয়ায় বিলটি ৬বছরের জন্য ইজারা দেওয়া হয়েছে। ওই বিলের মাছ লুটের বিষয়ে ইজারাদারকে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।