আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকার মনোনয়ন ধরে রাখতে রীতিমত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন খুলনার ৫টি আসনের বর্তমান সংসদ সদস্যরা। নৌকা প্রতীক নিশ্চিত করতে তারা মরিয়া হয়ে উঠেছেন। তাদের মনোনয়ন নিজের অনুকূলে রাখতে ছুটে চলেছেন প্রভাবশালী বিভিন্ন নেতার দ্বারে দ্বারে। আজ (২৪ নভেম্বর) শুক্রবার গত বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভায় কাকে দেওয়া হবে নৌকা প্রতীকে দলীয় মনোনয়ন সেটা চূড়ান্ত করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে এই সভায় নির্ধারিত হবে আওয়ামী লীগের নেতাদের ভাগ্য। আওয়ামী লীগের দপ্তর সেল থেকে জানা গেছে, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে খুলনার ছয়টি আসনে বর্তমান সংসদ সদস্যসহ আওয়ামী লীগের ৫৪ নেতাকর্মী দলীয় মনোনয়ন চেয়েছেন। এরমধ্যে খুলনা-২ আসনে (সদর সোনাডাঙ্গা) একমাত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র সেখ সালাউদ্দিন জুয়েল। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খুলনা-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও হুইপ পঞ্চানন বিশ্বাসের জন্য মনোনয়ন নিশ্চিত করা সহজ হচ্ছে না। তার অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মনোনয়নের দৌড়ে রয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য ননী গোপাল মন্ডল, কেন্দ্রীয় সদস্য ও সংরক্ষিত নারী এমপি অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীর চাচাতো ভাই শেখ সোহেল। আরও ৫ নেতা দলের মনোনয়ন চাইলেও তাদের সম্ভাবনা কম বলে জানা গেছে। খুলনা-৩ আসনে বর্তমান এমপি ও শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ানেরও দুশ্চিন্তা কম নয়। তার নৌকা প্রতীক পেতে শক্তিশালী অবস্থান নিয়ে এগিয়ে এসেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন এবং বর্তমান সেনা প্রধানের বোন অধ্যাপক রুনু ইকবাল বিথার। মনোনয়ন সংগ্রহ করলেও আলোচনায় নেই অন্য ৩ নেতা। খুলনা-৪ আসনে বর্তমান এমপি আবদুস সালাম মূর্শেদীর মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক শরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু, মহানগর যুবলীগের সভাপতি সফিকুর রহমান পলাশ ও খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক হুইপ খুলনার সিংহ পুরুষ প্রায়ত নেতা এস এম মোস্তফা রশিদী সুজা পুত্র খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম খালেদীন রশিদী সুকর্ণ। জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক কামরুজ্জামান জামালসহ এই আসনের অন্যান্য নেতাদের নিয়ে আলোচনা কম। খুলনা-৫ আসনে বর্তমান এমপি ও সাবেক মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দকে দুশ্চিন্তায় ফেলেছেন খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও খুলনা সদর থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম। এই আসনে আরও ১১ নেতা মনোনয়ন ফরম নিলেও তাদের সম্ভাবনা কম। খুলনা-৬ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য মো. আখতারুজ্জামান বাবুর বিরুদ্ধে মনোনয়ন দৌড়ে রয়েছেন অনেকে। এর মধ্যে সাবেক এমপি সোহরাব আলী সানা, ইঞ্জিনিয়ার প্রেম কুমার মন্ডল, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক শেখ রাশেদুল ইসলাম রাসেল, ইঞ্জিনিয়ার জিএম মাহবুবুল আলম আলোচনায় রয়েছেন। এদিকে, মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে নিজেদের বিভিন্ন কর্মকা-ের বর্ণনা দিলেও প্রায় সব নেতাই বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত নিবেন, সেটা সবাই মেনে নিবেন। সে মতেই কাজ করবেন তারা।