নীলফামারীর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজে আয়োজন করা হয় জলঢাকার কৈমারী স্কুল এ- কলেজের ৫ পদে নিয়োগ পরীক্ষা। কৈমারী স্কুল এ- কলেজ নিজ উপজেলা জলঢাকায় ওই নিয়োগ পরীক্ষা না নিয়ে তা নিয়ে আসে সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজে। ওই পরীক্ষা ২৪ নভেম্বর সকালে হওয়ার কথা ছিল। ইতোমধ্যে পরীক্ষায় অংশ নিতে বিভিন্ন স্থান থেকে নিয়োগ প্রত্যাশীরা আসেন কেন্দ্রে। গোপনে ওই নিয়োগ পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে জলঢাকা থেকে সৈয়দপুরে এমন খবর ছড়িয়ে পড়ে জেলার সংবাদকর্মীদের মধ্যে। একে একে নীলফামারী, জলঢাকা, সৈয়দপুর এবং কিশোরগঞ্জ থেকে প্রায় শতাধিক সংবাদকর্মী আসে কেন্দ্রে। ভীড় জমতে থাকে সরকারি বিজ্ঞান কলেজ কেন্দ্রে। একসময় নিয়োগ পরীক্ষা নেয়ার প্রস্তুতি চললে তা সংবাদকর্মীদের তোপের মুখে আপাতত বন্ধ করা হয়। এরপর কৈমারী স্কুল এ- কলেজের অধ্যক্ষ এবং কলেজ গভর্ণিং বডির সভাপতি বসেন বৈঠকে। এরইমধ্যে বিভক্ত হয়ে যায় সংবাদকর্রীরা। জলঢাকার এক সিনিয়র সাংবাদিক জানান, নিজ এলাকায় পরীক্ষা না নিয়ে অন্য এলাকায় নেয়ার উদ্দেশ্য কি। নিশ্চয়ই এটি মধ্যে কোন ঘাপলা করা হয়েছে। মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ জলঢাকায় নিয়োগ পরীক্ষা না নিয়ে সৈয়দপুরে নেয়ার পরিকল্পনা করে। ওই সাংবাদিকের দাবি মেধাবীরা চাকুরী পাক। কিন্তু টাকার বিনিময়ে অযোগ্যরা চাকুরী পাক এটা হয় না। কলেজ গভর্ণিং বডির সভাপতি জানান, আমরা নিয়োগে কোন অনিয়ম করবো না। অর্থের লেনদেন বিষয়টি সঠিক নয়। তারপরও যখন অভিযোগ তোলা হয়েছে তাই নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। যারা আবেদন করেছেন তাদের পরবর্তীতে পরীক্ষার বিষয়ে জানানো হবে।