নীলফামারীর সৈয়দপুর একটি ঘনবসতিপূর্ণ শহর।
চারটি রাস্তা বেস্টিত এ শহর। বর্তমানে শহরে যানজট ধারণ করেছে প্রকট আকার। প্রায়ই সময় যানজটের কবলে পড়তে হয় জনসাধারণকে। স্বল্প সংখ্যক ট্রাফিক পুলিশ এটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না।
শহরের এক নম্বর রেল ঘুমটি মোড়ের রাস্তা। এ রাস্তাটি শহরের অন্য ব্যস্ততম রাস্তার মধ্যে একটি।
এ রাস্তার দক্ষিণে সৈয়দপুর প্লাজা সুপার মার্কেট। এ পথ দিয়ে যেতে হয় সৈয়দপুর বিমানবন্দর। উত্তরে সৈয়দপুর থানা। এ পথে ওয়াপদা মোড় হয়ে নীলফামারী।
প্রতিদিন হাজার হাজার ছোট বড় যানবাহন চলে এ রাস্তা দিয়ে। পৌর কর্তৃপক্ষ রাস্তাটি সংস্কার না করায় বিরাজ করছে এর বারো অবস্থা।
বর্তমানে রাস্তার মধ্যস্থানে অটোরিকশার জটলা। অটোরিকশা দাঁড় করিয়ে রাখা হয় অনেকটা রাস্তায়। তারা এ রাস্তাটি তাদের অটোরিকশা স্ট্যান্ডে পরিনত করেছে। ফলে নিত্যদিন এখানে ঘটে ছোট বড় দুর্ঘটনা। বিশেষ করে মোটরসাইকেল চালকরা পড়ে বিপদে। কোন ক্রমেই রাস্তা থেকে স্ট্যান্ডটি সড়াতে পারছে না পৌর কর্তৃপক্ষ। ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা মাথায় নিয়ে এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
সৈয়দপুর শহরে কতগুলো অটোরিকশা চলাচল করে তার সঠিক হিসাব নেই।
পৌর মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বেবী বলেন, তিন হাজারের মত অটোরিকশা নবায়ন করা হয়েছে। বাকিগুলো কোথা থেকে আসে সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ নেতা সরকার কবির উদ্দীন ইউনুস বলেন, শহরে অটোরিকশা সংগঠনের হিসেব নেই। সংগঠনগুলোর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নিজের ইচ্ছেমত শহরের মোড়ে মোড়ে রাস্তায় স্ট্যান্ড বসিয়েছে। এতে করে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় মানুষকে। তিনি বলেন অটোর নির্দিষ্ট একটি স্থান থাকা দরকার।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসের সামনের রাস্তায় অটোর জটলার কারণে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগিরা পড়ছে বিড়ম্বনায়। অনেক সময় তাদের সাথে অটোরিকশা চালকের ঝগড়াও লেগে থাকে।
সৈয়দপুর উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আলম মাস্টার জানান,রাস্তা থেকে অটোরিকশা সড়াতে হবে। আর এজন্য দায়িত্বের সাথে কাজ করতে হবে পৌর মেয়রকে। তিনি রাস্তায় কেন অটোরিকশা স্ট্যান্ড করতে সহযোগিতা করবেন।