নীলফামারীর সৈয়দপুরে বর্তমানে সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ পলিথিন কারখানার ছড়াছড়ি অবস্থা। মনে হয় এ শহরে অনেকটা প্রতিযোগিতামুলক নিষিদ্ধ পলিথিন কারখানা নির্মাণের হিড়িক পড়েছে। সরকার ইতঃপূর্বে পলিথিন উৎপাদন ও বাজারজাত করণ নিষিদ্ধ করেছে। পলিথিন পরিবেশ ও জনস্বাস্থের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তাই এর বাজারজাত ও উৎপাদন বন্ধে সরকার নিষেধাক্কা জারি করে। সরকারের ওই বিধি নিষেধ অমান্য করে সৈয়দপুরে একটি মহল মেতে ওঠেছে নিষিদ্ধ পলিথিন কারখানা নির্মাণে। তারা রাতের অন্ধকারে ওই কারখানায় পলিথিন তৈরী করে। আর দিনের বেলায় কারখানাগুলো থাকে তালাবদ্ধ। কোন কোন কারখানা মালিক আবার দিনের বেলায়ও মুল গেট তালাবদ্ধ রেখে ভিতরে পলিথিন তৈরী করে। নিষিদ্ধ পলিথিন কারখানাগুলো বেশীর ভাগ গড়ে তোলা হয়েছে মিস্ত্রিপাড়া ও বাঁশবাড়ী এলাকায়। বিদ্যুৎ এর ব্যবহার নিয়েও ওই সকল কারখানায় রয়েছে ঘাপলা। দীর্ঘদিন থেকে ওই সকল নিষিদ্ধ পলিথিন কারখানায় প্রশাসনের কোন অভিযান না থাকায় এগুলো চলছে জমজমাটভাবে। কেউ কেউ বলছে চুক্তি থাকায় কারখানাগুলোতে কোন অভিযান পরিচালনা করা হয় না। বর্তমানে বিসিক শিল্পনগরীতে চলছে দুইটি কারখানা,শহীদুল হাজীর ক্যাম্পাসে আবদুল কাদের চালাচ্ছে একটি কারখানা, বাঁশবাড়ীতে দুইটি, মিস্ত্রিপাড়ায় একটি চলছে পুরোদমে। সাইদুল ইসলাম নামে এক ঢাকাইয়া ওই কারখানা নির্মাণ করে সৈয়দপুরে। প্রশাসনের চাপে তিনি সৈয়দপুর থেকে ওই কারখানা এখন স্থানান্তর করেছে রাবেয়া সোনাপুকুর এলাকায়। কারণ সৈয়দপুরের কাছে হলেও এটি পড়েছে পার্বতীপুর এলাকায়। ব্যবসায়িরা তাদের উৎপাদিত ওই পলিথিন সৈয়দপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও , নীলফামারী, ডোমার, ডিমলা, জলঢাকা, কিশোরগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছে। কোন কোন ব্যবসায়ি আবার ট্রাক যোগে নিয়ে যাচ্ছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে। সৈয়দপুর থানার এক কর্মকর্তা জানান, পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে যারা সরকার নিষিদ্ধ পলিথিন কারখানায় উৎপাদন ও বাজারজাত করছে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।