দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদীয় আসন-৯৮ বাগেরহাট-৪ (শরণখোলা-মোরেলগঞ্জ) আসনে নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ। রোববার বিকেলে গণভবন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীদের চুড়ান্ত তালিকায় সোহাগের নাম ঘোষনা করা হয়। এই ঘোষানার পর থেকেই শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জে সোহাগের কর্মী-সমর্থকরা তাৎক্ষণিক আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করে। দুই উপজেলাতেই সোহাগ সমর্থকদের মাঝে বইছে আনন্দের বন্যা। বাগেরহাট-৪ শরণখোলা-মোরেলগঞ্জ আসনে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বর্তমান এমপি আমিরুল আলম মিলন এবং জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য কেন্দ্রিয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগসহ ১৩ জন। এদের মধ্যে প্রধান আলোচনায় ছিলেন আমিরুল আলম মিলন ও বদিউজ্জামান সোহাগ। অবশেষে সকল জল্পনা-কল্পনার অবশান ঘটিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নৌকার মাঝি হিসেবে সোহাগের নাম ঘোষনা করেন। খবর পাওয়ার সাথে সাথে শরণখোলায় আনন্দ মিছিল শেষে পাঁচ রাস্তার মোড়ে পথ সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলাম কালাম। তিনি সকলকে ধৈর্য্য ধারন করে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার আহব্বান জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা জালাল আহম্মেদ রুমী ও ডালিম তালুকদার। নৌকার মনোনয়ন পেয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ বলেন, আমাকে নৌকার প্রার্থী হিসেবে মনোনিত করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আমি চির কৃতজ্ঞ। আমরা সবাই নৌকার কর্মী। সবাইকে নিয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করার আহবান জানাই। আমি নৌকা পাওয়ায় অতিউৎসাহী হয়ে আমার কোনো নেতাকর্মী এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। বর্তমান এমপি আমিরুল আলম মিলন তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে আমাদের কিছুই করার নেই। নেত্রী যাকে ভালো মনে করেছেন তাকে নৌকা দিয়েছেন। আমি নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে কাজ করবো।