নীলফামারীর সৈয়দপুর একটি গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা। নীলফামারী জেলার মধ্যে করদাতার তালিকায় সৈয়দপুর প্রথম স্থানে। জেলার চেয়ে এ শহরের গুরুত্ব অনেক বেশী। বহু ভাষাভাষির মানুষের বসবাস এ শহরে। প্রথম শ্রেণীর পৌরসভাসহ ৫টি ইউনিয়ন নিয়ে এ উপজেলা। লোকসংখ্যা প্রায় ৪ লাখ।
আওয়ামী লীগ টানা চার বার সরকার গঠন করলো। চার বারের বেশীর ভাগ সময় এ আসনে সাংসদ ছিলেন জাতীয় পার্টির। অথচ নির্বাচনে কাজ করে এখানের আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী।
অন্য দলের সাংসদ হওয়ায় সৈয়দপুর থাকে অনেক উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত। বার বার নির্বাচনের সময় এখানের নেতারা মনোনয়ন প্রত্যাশা করে ব্যর্থ হয়। তাই এখানের নেতা ও কর্মীরা থাকে মনোক্ষুন্ন অবস্থায়।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এবার সৈয়দপুরের নেতারা বড় আশা করেছিল মনোনয়ন সৈয়দপুর থেকে কাউকে না কাউকে দেয়া হবে। কিন্তু তাদের সেই আশায় গুড়েবালি। নৌকা মনোনয়ন চলে গেল কিশোরগঞ্জে। ফলে সৈয়দপুরের নেতাদের মন ভেঙ্গে যায়।
সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ মোখছেদুল মোমিন নেতাদের বৈঠকে বসেন।
করেন তাদের সাথে দফায় দফায় বৈঠক। ২৮ নভেম্বর রাতে সৈয়দপুর পৌর কমিউনিটি সেন্টারে তিনি নেতা কর্মীদের নিয়ে এক সভা করেন। ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম। এতে বক্তব্য বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ মোখছেদুল মোমিন। পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক। উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ইদ্রিস আলী। যুগ্ন সম্পাদক জেবায়দুর রহমান শাহীনসহ অনেকে। ওই সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়।
ওই সভার পরামর্শ মতে ২৮ নভেম্বর সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ মোখছেদুল মোমিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল রায়হান এর হাতে পদত্যাগ পত্র জমা দেন। ২৯ নভেম্বর তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।
দলের প্রধান পদে থেকে নৌকার বিরুদ্ধে নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আমি একজন জনপ্রতিনিধি। জনগনের সেবা করাই আমার প্রথম কাজ। আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করবো এবং জনগনের ভোটে জয়ী হবো এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস।