নওগাঁর রাণীনগরে জামায়ের ছুরিকাঘাতে গুরুত্বর আহত হয়েছেন শ্বশুর শহিদুল ইসলাম (৪৫)। বর্তমানে তিনি নওগাঁ সদর হাসাপাতালে চিকি’সাধীন রয়েছেন। বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার একডালা ইউনিয়নের উপর তালিমপুর গ্রামে এঘটনা ঘটে। শ্বশুর শহিদুল ইসলাম ওই গ্রামের চয়েন আলীর ছেলে এবং জামায় ময়নুল ইসলাম (২৪) একই গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে। এ ঘটনায় জামায়কে ধরতে থানাপুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
আহত শহিদুলের স্ত্রী রেখা বিবি জানান,গত সাত বছর আগে তার মেয়েকে ময়নুলের সাথে বিয়ে দেয়। বিয়ের পর কিছু দিন সংসার ভাল চললেও জামায়-মেয়ের মধ্যে নানান কারণে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। একপর্যায়ে জামায় ময়নুল মাদকাশক্ত হয়ে পরলে নেশা করে বাড়ীতে ফিরে বিভিন্নভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকে। নির্যাতন সইতে না পেরে গত দুই মাস আগে মেয়ে বাবার বাড়ীতে চলে আসে। হঠা’ করেই বৃহস্পতিবার ভোর অনুমান সাড়ে চারটা নাগাদ জামায় ময়নুল ও জামায়ের বাবা খালেক এসে দরজায় ডাকা-ডাকি শুরু করে। এ সময় শহিদুল ইসলাম দরজা খুলে দেয়া মাত্রই জামায় ময়নুল শহিদুলকে ছুরিকাঘাত করে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে প্রতিবেশির লোকজন শহিদুলকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে রাণীনগর হাসপাতালে ভর্তি করায়। সেখানে অস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকি’সার জন্য নওগাঁ নদর হাসপাতালে স্থানান্তর করে। রেখা বিবি আরো জানান, শহিদুলের শরীরে প্রায় ২৪টি সেলাই দিতে হয়েছে।
এঘটনায় এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি জানিয়ে রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ওবায়েদ বলেন,খবর পেয়ে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু জামায় ময়নুল ও তার বাবা খালেক পালিয়ে যাওয়ায় গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তবে তাদেরকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।