আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে তৃণমূল বিএনপি’র প্রার্থী বিএনপি’র চেয়ার পার্সনের উপদেষ্টা সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য প্রয়াত উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার ছেলে মাঈনুল হাসান তুষার। বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে মোটরবাইক শোভাযাত্রা ও কয়েক হাজার লোকের শো-ডাউনের মাধ্যমে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা করেন মাঈনুল হাসান। এ সময় ওঁর সাথে ছিলেন উপজেলা সরাইল সদরের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল জব্বার।
দলীয়, পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বিএনপি দলীয় সাবেক এমপি ও বেশ কয়েকটি দপ্তরের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ছিলেন আবদুস সাত্তার। দলীয় সিদ্ধান্তে সংসদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন তিনি। পরে দলীয় সকল কাজে অবমূল্যায়নের অভিযোগে সাত্তার দল থেকে পদত্যাগ করেন। একই আসনের ১ ফেব্রƒয়ারির উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন তিনি। স্থানীয় আওয়ামী লীগের সহাতায় জয়লাভ করেন আবদুস সাত্তার। মাত্র ৮ মাস পর গত ৩০ সেপ্টেম্বর মারা যান তিনি। ফলে পরের দিনই আসনটি শুন্য ঘোষণা করে ইসি। পরবর্তী তফসিলে ৫ নভেম্বর উপনির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। পিতার ছাড় ও ত্যাগের বিনিময়কে সামনে ধরে নৌকা প্রতীকে ওই উপনির্বাচনে অংশ নিতে চেষ্টা করেন মাঈনুল হাসান তুষার। এমনকি ফরম পূরণ ও জমা দিয়ে আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদও গ্রহন করেন তিনি। সবশেষে দলীয় সিদ্ধান্তে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হয় তাকে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও নৌকা পেতে অনেক চেষ্টা করেছেন তুষার। সম্ভব হয়নি। সবশেষে আশা প্রত্যাশার ভরসায় তৃণমূল বিএনপি’র মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তুষার। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে দেড় সহ¯্রাধিক লোকের অংশগ্রহণে বিশাল মোটরবাইক শো-ডাউন ও মিছিল সহকারে সরাইল সদরে প্রবেশ করেন মাঈনুল হাসান। এরমধ্যে ছিল অরূয়াইল পাকশিমুল ইউনিয়নের অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, আলেম ওলামা, শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। মাঈনুল হাসান সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দিনের কাছে ওঁর মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তৃণমূল বিএনপি’র প্রার্থী মাঈনুল হাসান বলেন, “আমার প্রয়াত পিতা আবদুস সাত্তার জীবনের অধিকাংশ সময় মানুষের জন্য কাজ করেছেন। ৪ বার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। মার্কা নয়, মানুষ ভোট দিয়েছেন ব্যক্তি উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়াকে। মনে রাখতে হবে তিনি কিন্তু দুইবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েও নির্বাচিত হয়েছেন। দল বা মার্কা নয়। উনি ছিলেন অত্র এলাকার মানুষের ভালবাসার মানুষ। তিনি মানুষকে সম্মান ও শ্রদ্ধা করতেন। গরীব অসহায় মানুষদের অনেক কাজ বিনা পয়সায় করে দিয়েছেন। মানুষ বরাবরই এগুলোর প্রতিদান দিতেন ভোটের মাধ্যমে। সেই পিতার সন্তান হিসেবে আমিও আশাবাদী জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে এমপি নির্বাচিত করবেন। প্রসঙ্গত: আগামী ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের ৭ জানুয়ারি সমগ্র দেশের সাথে আমাদের আসনেও জাতীয় সংসদ নির্বাচন।