রাজশাহীর দুর্গাপুরে যুবদল নেতার নির্দেশে আওয়ামী লীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। ৩০ নভেম্বর রাত ৮টায় উপজেলার কিশমত গনকৈড় ইউনিয়নের কয়ামাজমপুর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এই ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত আওয়ামী লীগ কর্মী জাহাঙ্গীর আলম (৪৫) কয়ামাজমপুর গ্রামের কাজিমুদ্দিনের পুত্র। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে, যে কোন মূহুর্তে বড় ধরনের সংঘর্ষ ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। বর্তমানে গুরুতর আহত জাহাঙ্গীর আলম রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৮নং ওয়ার্ডে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। প্রত্যক্ষদর্শী হাবিব ও নাজমুল হোসেন জানান, ৩০ নভেম্বর সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ কর্মী ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম ও কাঠ ব্যবসায়ী ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি আনিসুর রহমান আঞ্জু'র মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর একপর্যায়ে জাহাঙ্গীর আলম কয়ামাজমপুর মাঠের পাশে দোকান বসে থাকা অবস্থায় যুবদল নেতা আনিসুর রহমান আঞ্জু এর নির্দেশে তার ক্যাডার বাহিনীর সদস্য সোহান (২২) ও রবিন (২২) চাইনিস কুড়াল দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। জাহাঙ্গীর আলমের চিৎকার দিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। জাহাঙ্গীর আলমের চিৎকারে আশেপাশের দোকান থেকে এগিয়ে গেলে ক্যাডার সোহান ও রবিন দৌড়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা জাহাঙ্গীরকে রক্তাক্ত অবস্থা উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করে। এলাকাবাসী দুর্গাপুর থানায় এ বিষয়ে াবগত করলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। বর্তমানে গুরুতর আহত আওয়ামী লীগ কর্মী জাহাঙ্গীর আলম রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৮নং ওয়ার্ডের বিছানায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। প্রত্যক্ষদর্শী হাবিব বলেন, আমার দোকানের সামনেই এই ঘটনা ঘটেছে, চিৎকার শুনতে দেখি সোহান ও রবিন চাইনিজ কুড়াল দিয়ে জাহাঙ্গীর আলমকে আঘাত করছে, সেসময় দোকান হতে অনেকেই এগিয়ে আসলে তারা দু'জন পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি আনিসুর রহমান আঞ্জু'র সাথে তার ব্যবহৃত ০১৭২০৫৯২০৩৬ নম্বরের মুঠোফোনে কথা বলার জন্য একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে নম্বরটিবন্ধ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে দুর্গাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজমুল হক বলেন, আমরা সংবাদ পেয়েই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ বা মামলা হয় নাই, তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।