“নৈতিকতার সাথে ধর্মের পথে, গীতার আলোয় আলোকিত হোক জীবন’’ এই শ্লোাগানকে সামনে রেখে কচুয়ায় গত ৭ এপ্রিল উপজেলা মন্দির কমপ্লেক্সে একটি সামাজিক সংগঠন (পিএমটিএকে) এর আয়োজনে শ্রী শ্রী গীতা বিদ্যাপীঠের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তারই ধারাবাহিকতায় ইতোমধ্যে দক্ষিন এশিয়ার মধ্যে সব থেকে বড় শ্রী গীতা বিদ্যাপীঠের ক্লাসের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে উপজেলা মন্দির কমপ্লেক্স।
প্রতি (শুক্রবার) ছুটির দিনে অভিজ্ঞ শিক্ষক মন্ডলী মহানন্দ গোলদার, কমলেশ বৈদ্য, মুকেশ বাওয়ালি, আশীষ কুমার বিশ্বাস গীতা বিদ্যাপীঠের ক্লাস নিয়ে থাকেন। বর্তমানে এই স্কুলের ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা ৪১৬ জন। সামাজিক সংগঠন (পিএমটিএকে) জানায় প্রতিনিয়ত ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে তাছারা এখানে গীতাপাঠ ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ধর্মীয় ও নৈতিকতা শিক্ষা বিষয়ে আলোচনা করা হয়। ১লা (ডিসেম্বর) শুক্রবার গীতা ক্লাসে উপস্থিত ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা মহানন্দ গোলদার, শিক্ষক কমলেশ বৈদ্য, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও দাতা মুকেশ বাওয়ালী, আশীষ কুমার বিশ্বাস, অনিমেষ কান্তি রায়, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম কচুয়া উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সূর্য্য চক্রবর্তী, পার্থ সাহা সহ কচুয়া উপজেলার গীতা বিদ্যাপীঠের ছাত্র ছাত্রী, অভিভাবক সহ শুভাকাঙ্খীরা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া সাম্পতিক সময়ে শাখা হিসাবে আন্ধারমানিক দূর্গামন্দিরে গীতা পাঠ্যদানের ক্লাসের উদ্বোধন করা হয়েছে।
এদিকে (পিএমটিএকে) এর সদস্য শিক্ষক কমলেশ বৈদ্য বলেন, কচুয়ায় হিন্দুঅধ্যুষিত সকল এলাকায় শ্রী গীতা বিদ্যাপিঠের শাখা উদ্বোধনের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান। সামাজিক সংগঠন (পিএমটিকের) উদ্যক্তা মুকেশ বাওয়ালি বলেন, আমাদের লক্ষ্য কচুয়া উপজেলায় বিভিন্ন মন্দিরে গীতা বিদ্যাপীঠ গড়ে তুলবো যাতে করে (সনাতন) ধর্মের শিশুরা ধর্মীয় চেতনায় বিশ্বাসী হয়ে দেশের ভবিষ্যত কারিগড় হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে দেশের জন্য কাজ করতে পারে তারই লক্ষ্যে সামাজিক সংগঠনটি কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান। এ ছাড়া এই সামাজিক সংগঠন (পিএমটিএকে) শ্রী গীতা বিদ্যাপীঠে, গীতা, খাতা, ব্যাগ, কলম বিতরন সহ প্রতি সপ্তাহে ক্লাস শেষে ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে খাবার বিতারন করেন।