মৌলভীবাজার জেলার জুড়ীতে পাগলা কুকুরের কামড়ে শিশু ও নারীসহ আহত হয়েছেন ১৫ জন। শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সকাল থেকে রাত অবধি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আহতের ঘটনা ঘটেছে। আহতদের মধ্যে ১২ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। তবে একজনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে কতব্যরত চিকিৎসক সিলেট এমএ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত কয়েকজন একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন বলে জানা যায়।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার এ দুই দিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার শিশু সহ কমপক্ষে ১৫ জনকে কামড়িয়ে আহত করেছে একটি পাগলা কুকুর। শুক্রবার রাতে উপজেলার এম এ মুমীত আসুক চত্বরের টায়ার ব্যবসায়ী মোঃ আলমগীর হোসেন তার দোকানে কাজ করেছিলেন। হঠাৎ করে ওই পাগলা কুকুরটি ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেনকে আক্রমণ করে গলায় কামড় বসিয়ে দেয়। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে সিলেট এমএ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এছাড়াও ওই পাগলা কুকুরের কামড়ে আহত হয়েছেন: উপজেলার কামিনীগঞ্জ বাজারের মোঃ আবদুস সবুর মাখন (৭০), বাছিরপুর গ্রামের কবির আহমদের শিশু কন্যা মাইশা আক্তার (৯), ডালিম মিয়ার ছেলে সোহান আহমদ, হরিরামপুর গ্রামের সজিব (১৩), একই গ্রামের মনির মিয়ার শিশু পুত্র রাহিম (৪), চম্পকলতা গ্রামের শিশু মাহিন (৬), মোহাম্মদপুর এলাকার সোহাগ (১৩), শাহপুর এলাকার সাইফ আহমদ (১১), বড়লেখা উপজেলার শাহবাজপুর এলাকার শান্ত (১৪), জাঙ্গিরাই গ্রামের ইমরান আহমদ, একই গ্রামের জুবায়ের আহমদ (১০) প্রমুখ। এছাড়াও আরো বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। মানুষের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি গবাদিপশুও ওই কুকুরের কামড়ে আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
কুকুরের কামড়ে আহতের খবরে বেশ কয়েকটি গ্রাম জুড়ে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে শুক্রবার বিকাল থেকে রাত অবধি উপজেলার এম এ মুমীত আসুক চত্বর এলাকায় যুবকরা লাঠি, কোচা নিয়ে কুকুর টি ধরার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এদিকে চারদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে রাত ১১ টার দিকে বেশ কয়েকজন যুবক মিলে কুকুর টি আটক করে। এ সময় আরো কয়েকজন আহত হয়। পরে কুকুরের কামড় থেকে বাঁচতে এটিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে।
ব্যবসায়ী শরিফুল ইসলাম বলেন, পাগলা কুকুরের কামড়ে আহত বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ওই কুকুরের কামড়ে আমাদের একজন ব্যবসায়ী আহত হয়ে বর্তমানে সিলেটে চিকিৎসাধীন আছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সমরজিৎ সিংহ বলেন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে শিশুসহ প্রায় ১২ জন কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সিলেট এমএ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।