মুন্সীগঞ্জ ৩ আসনে (মুন্সীগঞ্জ সদর ও গজারিয়া) উপজেলা নিয়ে গঠিত। এই আসন হতে মোট ১১ জন প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করলেও একজনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। মুন্সীগঞ্জ ৩ আসনে মনোনয়ন দাখিল করা প্রার্থীরা হলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত এডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস,আওয়ামী লীগ মনোনয়ন বঞ্চিত, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব, জাকের পার্টি সামিম হায়দার মোল্লা, বিএনএফ মমতাজ সুলতানা আহম্মেদ, মুক্তিজোট মোহাম্মদ শাহীন হোসেন,ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ বাবুল মিয়া,বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি , মোহাম্মদ দুলাল হোসেন মন্ডল,বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্ট মোহাম্মদ ওমর ফারুক,জাতীয় পার্টি এএফএম রফিকুল্লাহ সেলিম, স্বতন্ত্র মোহাম্মদ আজিম খান,স্বতন্ত্র চৌধুরী ফাহরিয়া আফরিন মোট ১১ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। এর মধ্যে ১ জনের মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়েছে। মুন্সীগঞ্জ-৩ আসন থেকে বিএনএফ এর প্রাথী মমতাজ সুলতানার মনোনয়ন বাতিল হয় এবং ১০ জনের মনোনয়ন বৈধ বলে ঘোসনা করা হয়েছে। এর মধ্যে সম্পদের দিক থেকে জাতীয় পাটির প্রার্থী এ,এফ,এম রফিকউল্লাহ সেলিম সবচেয়ে বেশি সম্পদের মালিক তিনি তার হলফনামায় তার পেশা হিসাবে যাত্রীবাহি নৌ পরিবহন আলহাজ্জ লাল মিয়া সপ্তমুখী খাদ্য প্রকল্প লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও অভিনয় শিল্পি উল্লেখ করেছেন। এ আসনে মোট ১০ জন বৈধ প্রার্থীর মধ্যে দুই জন স্ব-শিক্ষিত একজন এসএসসি একজন এইচ এসসি দুই জন বিএ (স্নাতক পাশ) একজন এমবিএ, একজন এলএলএম পাশ ২জন এলএলবি পাশ উল্লেখ করেছেন। এদের মধ্যে ৮ জন পেশায় ব্যবসা একজন আইনজীবি অপরজন অভিনয় শিল্পি উল্লেখ করেছেন এই আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী মৃণাল কান্তি দাস তার হলফনামায় তার পেশা ব্যবসা বলে উল্লেখ করেছেন। ব্যবসা হতে তার বাৎসরিক আয় ১৩ লক্ষ ৯৫ হাজার ৪৮৭টাকা, সংসদ সদস্য ভাতা ৬ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা নিজ নামে তার কাছে নগদ টাকা রয়েছে ৩ লক্ষ ৪৫ হাজার ৭৫টাকা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা রয়েছে ১ কোটি ১৬ লক্ষ ৫৪ হাজার ৮৯১টাকা তার কাছে যে গাড়ি রয়েছে তার দাম ৮৬ লক্ষ ৫৩ হাজার ৬৩১ টাকা নিজ নামে পূর্বাচলে ৭.৫০কাঠার প্লট মূল্য ২০ লক্ষ ৪৪ হাজার ২৩০টাকা নিজ দোকান মূল্য ১২ লক্ষ ৩১ হাজার ৭৩৮ টাকা নিজ নামে ধানমন্ডিতে ফ্লাট ১৮ লক্ষ টাকা স্ত্রীর নামে সঞ্চয় পত্রে স্থায়ী আমানত বিনিয়োগ ৯০ লক্ষ ২৪ হাজার ১৯১ টাকা স্ত্রী সাড়ে ১৯ ভড়ি স্বর্ণালঙ্কার ঢাকার মোহাম্মদ পুরে সাড়ে ১০ কাঠার প্লট মূল্য ১২ লক্ষ ৫০হাজার টাকা রয়েছে উল্লেখ করেছেন তিনি। বিগত ২০১৪ ও ২০১৮ সালে দাখিলকৃত তার হলফনামার চেয়ে এই বছর তার আয় বেড়েছে বলে উল্লেখ করেছেন। অপরদিকে এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ ফয়সাল তার পেশা ব্যবসা উল্লেখ করেছেন। তিনি বাড়ি ও দোকান ভাড়া হতে তার আয় ১ লক্ষ ২৬ হাজার টাকা মেয়র সন্মানী ভাতা ৪ লক্ষ ৮০হাজার টাকা নগদ ৭৩ লক্ষ ৫১ হাজার ৯০৮ টাকা বন্ড ৯ লক্ষ টাকা একটি গাড়ি ৩৯ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা কৃষি জমি ১২ লক্ষ ৩১ হাজার ১০০টাকা, ২টি দোকান ৩ লক্ষ ৫৬হাজার টাকা উল্লেখ করেছেন। তবে মুন্সীগঞ্জে সব প্রার্থীর চেয়ে জাতীয় পার্টির প্রাথী এএফএম রফিকুল্লাহ সেলিম সবচেয়ে বেশি সম্পদের মালিক বলে তার ফলফনামায় উল্লেখ করেছেন। এর নিজ নামে নগদ টাকা রয়েছে ৭৬ লক্ষ ৮০ হাজার ৭৮ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত রয়েছে ২৬ লক্ষ ৮৯ হাজার ৬৪১ টাকা। বন্ট ঋণপত্র স্টক এক্সচেঞ্জ তালিকাভুক্ত রয়েছে ৩৩ লক্ষ ৫১ হাজার সাতশো তিন টাকা। পোস্টাল সেভিংস একাউন্টে রয়েছে ৩১ লক্ষ ৩৯ হাজার টাকা। যানবাহন বাস ট্রাক মোটরগাড়ি ও মোটরসাইকেল তালিকায় রয়েছে ১৫ লক্ষ ৯০ হাজার টাকার যানবাহন। স্বর্ণ ও অন্যান্য মূল্যবান ধাতু পাথরের তালিকায় নিজ নামে রয়েছে পাঁচ লক্ষ ১০হাজার টাকা। ইলেকট্রনিক সামগ্রীতে রয়েছে এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা। আসবাবপত্র ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। কৃষি জমির পরিমাণ ও অর্জনকালীন পরিমাণ ৬ লক্ষ ৪৪০ হাজার টাকা। অকৃষি জমি ও অর্জনকারী সময়ের আর্থিক মূল্য ১ কোটি ২০ লক্ষ ৭০ হাজার ৭৪ টাকা। বাড়ি ও অ্যাপার্টমেন্টে রয়েছে ৪৮ লক্ষ ৩ হজার ৫২৫ টাকা। চা বাগান রাবার বাগান মৎস্য খামার অর্জণকালীন সময়ে রয়েছে ২৬ লাখ ৩ হাজার ৮৩১ টাকা। এছাড়া অন্যান্য নৌ পরিবহনের রয়েছে ২ কোটি ১৪ লক্ষ ৪৮ হাজার ২০০ টাকা। নির্বাচনে কমিশনে প্রাথীদের দাখিলকৃত হলফনামা থেকে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।